প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ জুন, ২০২২

নৃত্য তালের ভাস্কর্য!

অনেক ভাস্কর্য দেখলে প্রায় জীবন্ত মনে হয়। নেদারল্যান্ডসের এক শিল্পী আক্ষরিক অর্থেই নিজের সৃষ্টির মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করছেন। নাচের তালে সেই ভাস্কর্যের সঞ্চালন হয়ে উঠছে শ্রুতিমধুর। চীনামাটির তৈরি অসংখ্য রিং দিয়ে মনোরম শব্দ সৃষ্টি করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের শিল্পী সেসিল কেম্পারনিক এমন সব ভাস্কর্য সৃষ্টি করেছেন, যেগুলে সব ইন্দ্রিয় ছুঁতে পারে। নিজের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি এমন কিছু তৈরি করি, যা আগে কখনো দেখিনি বা শুনিনি। নতুন বস্তু, বিভিন্ন বস্তুর নতুন বিন্যাস যা আমাকে আনন্দ দেয়, আমার কাছে অদ্ভুত বা একেবারেই নতুন মনে হয়, সেগুলোই বেছে নেই।’

সেসিল নেদারল্যান্ডসের টেক্সেল দ্বীপে বাস করেন। শিশু বয়সেই তিনি অত্যন্ত সৃজনশীল ছিলেন। তখন নাচ ও শিল্পকলা চর্চা করতেন। ফ্যাশন অ্যাকাডেমিতে এক বছর কাটানোর পর তিনি চারুকলার দিকেই ঝুঁকলেন। নানা ধরনের উপাদান নিয়ে কাজ শুরু করেন সেসিল। সেসিল বলেন, ‘প্রকৃতিই আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। বিশেষ করে জোয়ারভাটা, বাতাসের মতো পরিবর্তনের খেলা আমার ভালো লাগে। অনেকটা আমাদের ধমনীর রক্ত বা হৃদস্পন্দনের মতো। প্রকৃতির এমন লীলা অনন্তকাল ধরে চলে।’

নিজের স্টুডিওতে তিনি সেরামিক ভাস্কর্যের মধ্যে প্রাণসঞ্চার করেন। ৬৯ বছরের এই শিল্পীর কাছে মাটির তাল নিয়ে কাজ অনেকটা সেই উপাদানের সঙ্গে সংলাপের মতো। তিনি ক্রমাগত নতুন কিছু শিখে চলেছেন। চূড়ান্ত মনোযোগ দিয়ে তিনি প্রত্যেকটি রিং তৈরি করেন। প্রান্তগুলো পানি দিয়ে এমনভাবে বন্ধ করে দেন, যাতে মাঝে কোনো বুদ্বুদ সৃষ্টি না হয়। সেসিল কেম্পারনিক বলেন, ‘মাটির একঘেয়েমি আমার সত্যি খুব ভালো লাগে। সেটি যেন নিজের ইচ্ছাতেই চলে। কারণ সপ্তাহে একবার, দুইবার আগুন জ্বালালে এমন সব কাণ্ড ঘটে, যা আমি ভাবতেই পারিনি। আমি আসলে এখনো আবিষ্কার করে চলেছি।’

নাচের প্রতি ভালোবাসা থেকেই সেসিল নিজের ভাস্কর্যের মধ্যে গতিশীলতা আনতে শুরু করেন। সঞ্চালনের ফলে যে শব্দ সৃষ্টি হয়, তা তথাকথিত এএসএমআর এফেক্ট ঘটায়। অর্থাৎ, সেই ভাস্কর্যের শব্দ শুনলে অদ্ভুত অনুভূতি হয়। সেসিল বলেন, ‘অর্থাৎ এটা আমার কাছে কোনো পদ রান্না করার মতো নয়। শিল্পকলা, সেরামিক বা নাচও করার মতো নয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমনই হয়েছে।’ সেসিল কেম্পারনিক ভবিষ্যতে নর্তকিদের সঙ্গে কাজ করতে এবং মঞ্চের জন্য শ্রুতিমধুর ভাস্কর্য ডিজাইন করতে চান। সূত্র : ডয়েসে ভেলে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close