সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সড়ক বাঁধা হয়ে থাকলে তা কেটে পানি নেমে যাওয়া নির্বিঘ্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পানি ঢুকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় সিটি করপোরেশনকে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতেও নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা অনুযায়ী এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সিলেট সিটি করপোরেশনকে যেসব রাস্তার কারণে পানি নেমে যেতে পারছে না সেসব রাস্তা তাৎক্ষণিকভাবে কাটার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সিটি করপোরশনের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করছেন। এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এই বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আলাদা কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।

বন্যার কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ ওই অঞ্চলে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা। আটকে পড়া মানুষদের কাছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা। এ লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও অন্য বাহিনীর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বন্যাকবলিত লোকদের সাহায্য-সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোও সমন্বয় করে কাজ করছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সরকারের আগাম প্রস্তুতি ছিল বলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। বন্যায় রাস্তাঘাট, সেতুসহ যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তার জন্য সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেবে। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আপদকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় সংবাদকর্মীদের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ফলে সরকার জানতে পারে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

"