সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

  ২৮ মে, ২০২২

‘বই পড়ি নিজেকে গড়ি’

বইয়ের পাঠাগার হচ্ছে মানুষের পরম নির্ভরযোগ্য বন্ধু ও পথদর্শক, দূর করে অজ্ঞানতা, ছড়ায় জ্ঞান আরো। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলা নাটকের গৌড়জন সেলিম আল দীনের নামে ‘বই পড়ি নিজেকে গড়ি’ স্লোগানে টাঙ্গাইলের সখীপুরের কচুয়া গ্রামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বইবান্ধব সমাজ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই পাঠাগারের কার্যক্রম চললেও সম্প্রতি টিনের আধাপাকা ঘর দেওয়া হয়েছে নিজস্ব জমিতে। সপ্তাহে সাত দিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে পাঠাগারটি। ‘বই পড়ি নিজেকে গড়ি’ স্লোগান ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে পাঠারগারটি।

রবীন্দ্র রচনাবলিসহ পাঠাগারে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, সাময়িকীসহ কয়েক হাজার বই। গ্রামীণ মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে পাঠাগারটি গড়ে উঠেছে। খেলাধুলাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধাও রয়েছে পাঠকের জন্য। দেশ-বিদেশের খবর, অনুষ্ঠানাদি দেখার জন্য পাঠাগারে আছে টেলিভিশন। পাশেই রয়েছে কফি হাউস, খোলাপ্রান্তর। সম্পূর্ণ বিনা খরচে পাঠক এখানে বই পড়তে পারবেন। এমনকি বাড়িতেও নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে নির্দিষ্ট সময়মতো তা ফেরত দিতে হবে।

পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক ও কলামিস্ট ড. হারুন রশীদ বলেন, আমরা এখানে একটি কালচারাল ইউনিভার্সিটি গড়ে তুলব। তারই অংশ হিসেবে একটি সাংস্কৃতিক বলয় সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও রবীন্দ্রোত্তর কালের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার সেলিম আল দীনের নামে এই পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি এ এলাকায় এসেছেন। এখানকার মান্দাই নৃ-গোষ্ঠী নিয়ে ‘বনপাংশুল’ নামে নাটক লিখেছেন। আমরা পাঠাগারের মাধ্যমে তার স্মৃতি ধরে রাখতে চাই। তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের যুগে নতুন প্রজন্ম মোবাইল ও ফেসবুকমুখী হচ্ছে। তাদের বইমুখী করার চ্যালেঞ্জ নিয়েই পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

পাঠাগার থেকে মেধাবৃত্তি, ‘রোদ্দুর’ নামে সাহিত্য পত্রিকাপ্রকাশসহ নানামুখী সৃজনশীল কর্মকাণ্ড পারিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এর কর্মপরিধি আরো বাড়বে বলে জানান পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠাতা ড. হারুন রশীদ। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতাও আশা করছেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close