নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ মে, ২০২২

গ্যাসের চোরাই লাইন

পানির পাইপ দিয়ে সংযোগ, চলছে বছর-বছর

পানির পাইপের ভেতর দিয়ে টেনে নেওয়া হচ্ছে গ্যাস। আবাসিকের নামে সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে চলছে পুরো কারখানা। আবার অনুমোদিত সংযোগের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি বাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্যাস। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে চোরাই গ্যাসের ব্যবহার। রাজধানীতে তিতাসের অভিযানে মিলল এমন চিত্র। তবে ব্যবস্থা নিতে কেন এই দীর্ঘ সময়, নেই তার সদুত্তর। পিভিসি পাইপ দেখে মনে হতে পারে এর মধ্য দিয়ে সরবরাহ হচ্ছে পানি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পাশের আবাসিক সংযোগ থেকে গ্যাস নিয়ে চালানো হচ্ছে পুরো কারখানা।

গতকাল বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাসের অভিযানে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় মিলল এমন চিত্র। অভিযানের খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ধোঁকা দিতে রাখা হয় সিলিন্ডার গ্যাসও। তিনটি আবাসিকের সংযোগ থেকে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে কারখানাটির ২টি ওভেন, ১টি স্টার বার্নার। যেখানে মাত্র এক দিনে ব্যবহার করা গ্যাস দিয়ে অনুমোদিত ৩টি আবাসিকের ২ মাসের গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। একই এলাকায় ছয়তলা একটি ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ৫টি চুলার অনুমোদন নিয়ে চালানো হচ্ছে ১৩টি। আবার অনুমোদন আছে ৪টির কিন্তু চলছে আসলে ১৮টি সংযোগ।

বছরের পর কীভাবে চলছে এসব অবৈধ সংযোগ? আর বিচ্ছিন্ন করতেই-বা কেন লাগল এতটা সময়? তিতাসের কাছে নেই এসবের কোনো সদুত্তর।

তিতাস বলছে, নির্দিষ্ট যে লোকবল আছে, তাদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। ‘যত দিন আমরা এমন সংবাদ পাব, তত দিন অভিযান পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে আমরা কোনো গাফিলতি করি না।’

ভ্রাম্যমাণ আদালত বলছেন, অবৈধ সংযোগে তিতাসের কেউ জড়িত থাকলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। কেউ যদি প্রমাণ দেখাতে পারেন যে অবৈধ কাজের সঙ্গে কারো সংশ্লিষ্টতা আছে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এর সঙ্গে তিতাসের কোনো কর্মচারী জড়িত থাকলে, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানায় তিতাস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close