নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ মে, ২০২২

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর

মাটি খুঁড়লেই গ্যাসের অবৈধ সংযোগ

অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে হাজার লাইন

মাটি খুঁড়লেই মেলে পাইপ লাইনসহ গ্যাসের অবৈধ সংযোগের অসংখ্য প্রমাণ। অথচ অভিযানে নেমে কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই শুধু সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেই দায় সারছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে হাজার হাজার গ্যাসের অবৈধ লাইন দেওয়া হয়েছে। এদিকে, গত ১৩ দিন ধরে অভিযানের নামে কামরাঙ্গীরচরের গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন বৈধ গ্রাহকরাও। ১২ হাজার বৈধ গ্রাহকের বিপরীতে গ্যাস ব্যবহারকারী লাখেরও বেশি। অর্থাৎ দিনে দিনে জঞ্জাল বেড়ে হয়েছে পাহাড়সমান। সেই জঞ্জাল মুক্তির প্রচেষ্টায় তিতাস।

গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ঝাউচর এলাকায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযানে নামে সংস্থাটি। তবে ৮০ হাজারেরও বেশি অবৈধ ব্যবহারকারী নির্মূলে টিম মাত্র একটি। তিতাসের ধানমণ্ডি জোনের একজন ডিজিএম, পাঁচজন ম্যানেজার ও কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে চলা অভিযানে আছেন একজন ম্যাজিস্ট্রেটও। এলাকাটির মাটি খুঁড়তেই একের পর এক বেরিয়ে আসে গ্যাসের অবৈধ পাইপলাইন। যার কিছু অংশ কেটে ফের মাটি ফেলে ঢেকে দেওয়া হলেও অভিযানে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি কোনো অবৈধ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে। তিতাসের দাবি, গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় নিরুপায় তারা। যদিও নিজেরাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অভিযানে নামে সংস্থাটি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একই সংযোগ বছরে চার থেকে পাঁচবার কেটে যায় তিতাস। কখনোই নেওয়া হয় না কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা। অবৈধ সংযোগের পেছনেও জড়িত তিতাসের অসাধু কর্মকর্তারাই।

এদিকে, অবৈধ সংযোগ নির্মূলের নামে গত ১০ মে থেকে পুরো এলাকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে তিতাস। অবৈধ সংযোগ ছাড়াও পুরো কামরাঙ্গীরচরে ৬৭ কোটি টাকারও বেশি বিল বকেয়া আছে তিতাসের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close