ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২২

শৈলকুপায় আজিম মুনশি ও কফিল হত্যা

হত্যা মামলা প্রত্যাহারে হুমকি বিপাকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

ঝিনাইদহে শৈলকুপা উপজেলার বৃত্তিদেবী রাজনগর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাই আজিম মুনশি এবং ওই গ্রামের কফিল উদ্দিনকে ২০০৯ সালে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত কফিল উদ্দিনের ভাই হবিবর বাদী হয়ে ওই দিনই শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি এখন জেলার জজ আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু প্রভাবশালী আসামিরা মামলাটি প্রত্যাহারে বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা বিপাকে পড়েছেন।

জানা গেছে, এই মামলার আসামি মওলা, কুদ্দুস, রইচ, বাচ্চুসহ খুনি-সন্ত্রাসীরা এলাকায় ব্যাপক প্রভাবশালী হওয়ার গত ১৩ বছর মামলাটি চালাতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। প্রতিনিয়ত মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি ও সাক্ষ্যদানে বাধা দেওয়া হয়। নিহত আজিম মুন্সীর ছোট ছেলে আদালতে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য দিয়ে বাড়িতে ফিরলে খুনিরা তার ওপর চড়াও হয় এবং হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে শৈলকুপা থানায় ডিজি করা হয়েছে যার নং ৬৩৮। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হয়েও নিহত স্বজনের বিচার চাওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী কর্তৃক কোনঠাসা এই পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যেকোনো সময় জোড়া হত্যার আসামিরা বাদী ও সাক্ষীদের মিথ্যা মামলা বা খুন জখম ও হয়রানি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে।

নিহত আজিম মুন্সীর বড় ছেলে রেজাউল বলেন, শৈলকুপা থানায় প্রতি বছর ৩০-৪০ জন লোক খুনের স্বীকার হয় কিন্তু ৪০ বছরেও একটি বিচার হয় না। যে কারণে খুনিরা থেমে নেই। আশা করছি আমার বাবার খুনিদের সঠিক বিচারের পর গোটা উপজেলায় মানুষ হত্যা কমে যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে যানা যায়, আজিম মুন্সী ও কপিল উদ্দিনের খুনিরা সন্ত্রাসী বারেকের আপন ভাই ও সন্ত্রাসী ইউনুচ মেম্বর ও আয়ুবের আপন চাচাতো ভাই। বারেক ও আয়ুব অনেক আগেই প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়েছে এবং তাদের অস্ত্র মওলার হেফাজতে রয়েছে। সন্ত্রাসী মওলা প্রায়ই লোকজন নিয়ে সন্ধ্যার পর এলাকায় মহড়া দেয় বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, খুনিরা সাজা থেকে বাঁচতে দফায় দফায় মিটিং ও হুমকি-ধামকি দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে এবং সঠিক বিচারের জন্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি সরকারের এবং প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তারপরও কোনো সাক্ষীকে যেন হুমকি-ধামকি দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close