প্রতিদিনের সংবাদ ডেক্স

  ২২ মে, ২০২২

ভারতে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ

টিকটক হৃদয়সহ ৭ বাংলাদেশির দণ্ড

বাংলাদেশি এক তরুণীকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের আদালত। গত শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেয়। রায়ে আরো চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে ১১ জনই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন নারী।

সাতজনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া ছাড়াও একজনকে ২০ বছর ও আরেকজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত অন্য দুজনকে ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীন ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এবং একজনকে খালাস দেওয়া হয়। সে মামলার সাক্ষী ছিল। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশি।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলো চাঁদ মিয়া ওরফে সবুজ, মোহাম্মদ রিফাদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয়, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন ওরফে রাফসান মণ্ডল, রকিবুল ইসলাম ওরফে সাগর, মোহাম্মদ আবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেন।

এ ছাড়া আসামি তানিয়া খানের ২০ বছরের জেল হয়েছে। অপরাধ সংঘটনে সহায়তা প্রদান ও অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করার অপরাধে মোহাম্মদ জামাল নামের অপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুই নারী আসামি হলো নুসরাত ও কাজল। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা জেনেও গোপন রাখার অপরাধে তাদের প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৭ মে ২২ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি তরুণী বেঙ্গালুরুতে নির্যাতন ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। এরপর ১২ জনকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বেঙ্গালুরু পুলিশ। তাদের সবাই বাংলাদেশ থেকে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে অবৈধভাবে বাস করছিল। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা, অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) ধারা ও ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীন মামলা করা হয়।

অপরাধ সংঘটনের ২৮ দিনের মধ্যেই ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তিন মাসের মধ্যে বিচারকাজ শেষে শুক্রবার এ রায় দেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close