নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ মে, ২০২২

মতবিনিময় সভায় আইনমন্ত্রী

মামলার চার্জশিট গ্রহণে মত নিতে হবে পিপির

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মামলাসহ সব মামলার চার্জশিট গ্রহণের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রসিকিউটরদের মতামত নিতে হবে; যদি না নেয় তবে এ বিষয়ে নিজে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সাক্ষ্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা পরিবর্তন করা হবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন জেলা ও মহানগর পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন তিনি।

এ সময়, ধর্ষণ মামলায় ভিকটিম নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধারা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মামলার জট কমাতে আদালতের খরচ বাড়ানো হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, খরচ বাড়ালে মানুষ চিন্তা করবে আজ যদি আমি তারিখ নেই তাহলে অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগবে। তখন মানুষ আর সময় নিতে চেষ্টা করবে না। এটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। আরেকটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, আমরা সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধারার ৪ উপধারা বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছি। আজকের পৃথিবীতে নারীদের এভাবে বেইজ্জত করতে আমরা পারি না। ১৪৬ ধারার ৩ উপধারা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা যখন মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়েছিল, তখন আলোচনা হয়েছে। আমরা চিন্তা করছি, কতটা গেলে নর-নারী উভয়ের সমস্যার সমাধান করা যায়।

মন্ত্রী আরো বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার পরে কিছু মিসইউজ এবং অ্যাবিউজ যে হয়নি তা তো নয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট করেছিলেন। এটা করেছিলেন একটা বিশেষ কারণে। তখন মানুষ খাদ্য মজুদ করত, স্মাগলিং করত। তখন প্রচলিত কাস্টমস আইনের স্মাগলিং ১৫৬ ধারা দিয়ে এই অপরাধ বন্ধ করা যাচ্ছিল না। স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্টের সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার হয়েছে ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। আজ একটা ডিটেনশনের মামলা নেই কিন্তু স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট আছে। স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট কি খারাপ আইন? এটার ব্যবহার আপনারা কীভাবে করবেন এটাই বলে দেয় উদ্দেশ্য আপনাদের কী।

আইনজীবীদের বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখবেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো একটি ঘটনায় আদৌ মামলা হয় কি না। আগে দেখা যেত, থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলেই একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হতো। আমি সেখানেও বলেছি যাতে এই মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে যেন কাউকে গ্রেপ্তার না করা হয়। আদালত যদি মনে করে এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ তাহলে সে রকম ব্যবস্থা নেবে। আর যদি মনে করে, সমন দিলেই যথেষ্ট সমন দেবেন। তাই বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে ফেলতে হবে, আমি এটা সমর্থন করি না।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার। এরপর মামলাজট নিরসনে ৮ বিভাগ থেকে ১৬ আইন কর্মকর্তাকে মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়।

ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এ পদে আছি। আমরা এ সরকারের সুবিধাভোগী। তাই আসন্ন নির্বাচনে সাদা প্যানেলকে জেতানো আমাদের কর্তব্য। সব ভেদাভেদ ভুলে কাজ করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close