ঢাবি প্রতিনিধি

  ২০ মে, ২০২২

ঢাবি ছাত্রের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

পৃথক দুই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন দুই নারী শিক্ষার্থী। ওই দুই শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম রাকিবুল হাসান। তিনি ২০১৮-১৯ সেশনে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। সে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। গত ১৫ মে রাকিবের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রথম অভিযোগটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একজন নারী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত রবিবার টিএসসিতে অবস্থানকালে একটি ছেলে অনেকক্ষণ ধরে আমাকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার আরো কাছে এসে অত্যন্ত অশালীন ও অভদ্র ইঙ্গিত দিতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি তার অশালীন আচরণের কারণ জানতে চাইলে উল্টো আমার ওপর চড়াও হয়ে নানা হুমকি দিয়ে চলে যায়। ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ আরো বলেন, আমি তাকে ক্যাম্পাসের ছাত্রী পরিচয় দিয়ে আইনগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে অবহিত করলেও সে তার অবস্থান থেকে নিবৃত্ত হয়নি। অন্যদিকে, পরদিন ১৬ মে সোমবার রাকিবের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক নারী শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ওই নারী শিক্ষার্থী রাকিবের হাতে যৌন হেনস্তার শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, গত সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমি, আমার বন্ধু এবং বন্ধুর মা ঘুরতে আসি। বন্ধুর মা চলে যাওয়ার পর আমরা শিখা চিরন্তনের পাশে বসে নিজেদের মধ্যে কথা করছিলাম। এ সময় একটা মোটরসাইকেলে রাকিবসহ তিনজন ছেলে এসে আমরা ক্যাম্পাসের কি না জিজ্ঞেস করে। পরে না বললে তারা আমার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে একপাশে নিয়ে গিয়ে মারধর করে, একপর্যায়ে আমাকে হয়রানি করে। আমি চেঁচামেচি শুরু করলে তারা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।’

এদিকে দুটি অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রাকিবুল হাসান। ১৫ মে টিএসসির ঘটনা সম্বন্ধে জানতে চাইলে রাকিব বলেন, ‘এ ঘটনাটা ভুল বোঝাবুঝি। আমি আমার বান্ধবী মনে করে ওই আপুকে ডাক দিয়েছিলাম। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। পরে আমি ভুল বুঝতে পারি এবং আপুকে তখনই সরি বলি। আমি উনাকে উত্ত্যক্ত কিংবা খারাপ কোনো কথা বলিনি।’

অন্যদিকে শিখা চিরন্তনের ঘটনা অস্বীকার করে রাকিব বলেন, ‘যে সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বলা হচ্ছে সে সময় আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে ছিলাম। তাকে সময় দিচ্ছিলাম। এখানে আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। ওনি আমাকে কীভাবে চিহ্নিত করেছে সেটি আমি জানি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এ বিষয়ে বলেন, টিএসসির বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আর উদ্যানের ঘটনার অভিযোগপত্রটি আমি এখনো পাইনি। তবে বিষয়টি জেনেছি। মেয়েটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার অভিযোগ রাখার কোনো সুযোগ নেই। মেয়েটিকে আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে, সে যেন তার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় এবং প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়। আমাদের তরফ থেকে সহযোগিতা যা করার করব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close