সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
ধর্ষণ মামলার আসামি পেলেন দলীয় মনোনয়ন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধর্ষণ মামলার আসামি বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান পুনরায় নৌকা মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকাজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিষয়টি তারা অবহিত ছিলেন না। তবে তা এখন ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল হাসান মিয়া লিটন জানান, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ বিতর্কিত নানা কাজের সঙ্গে জড়িত হলেও সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লুৎফর রহমানকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে পুরো ইউনিয়নবাসী বিব্রত।
তিনি জানান, গত ০৬/১১/২০২০ তারিখে বাঙ্গালা চরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানায় মামলা হয়। (এফ/আর নম্বর-৭/২৮৩, তারিখ ৮/১১/২০, জি,আর নং-২৮৩।) পরবর্তীতে এ মামলায় পুলিশ ৫ জনের নাম দিয়ে চার্জশিট দেয়। এতে ৩ নম্বর আসামি করা হয় লুৎফর রহমানকে। তিনি জামিনে থাকলেও তা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এজন্য তাকে নৌকার মনোনয়ন যাতে না দেওয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে গত ৭ মে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও ওই বিতর্কিত ব্যক্তিকে শুধু আর্থিক বিবেচনায় নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা নেতাকর্মীরাও বিব্রত। ভোটের ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
নৌকার প্রার্থী লুৎফর রহমান বলেন, আমি ওই এলাকায় একটি মারামারি ঠেকাতে গিয়েছিলাম। এ কারণে একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণকারীকে সহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। ধর্ষণ মামলার বাদীর বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়ে তৈরি পোশাকশ্রমিক। তিনি এখন ঢাকার সাভারে আছেন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছামাদ তালুকদার জানান, লুৎফর রাহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামি হয়ে কীভাবে নৌকা পেল তা এখন ভাবার বিষয়।
উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন ৮ম দফায় ইউপি নির্বাচনে শাহজাদপুর উপজেলাধীন সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
"