নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ মে, ২০২২

তিন বছরে আয় ৩০০ কোটি টাকা

উৎক্ষেপণের প্রথম তিন বছরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে ৩০০ কোটি টাকার বেশি আয় করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-বিএসসিএল।

বিএসসিএলের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, দেশের প্রথম এই কৃত্রিম উপগ্রহ গত তিন বছরে কোনো আয় করতে পারেনি বলে যে খবর এসেছে, তা সঠিক নয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গত তিন বছর ধরেই আয়ের ধারায় রয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানির মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা, যার প্রায় পুরোটাই দেশীয় বাজার থেকে অর্জিত হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এই আয় আরো বৃদ্ধি পাবে।

শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ২০১২ সালে ফিজিবিলিটি স্টাডির সময় একটা লক্ষ্য ধরা হয়েছিল, সে সময় বলা হয়েছিল সাত বছরে টাকাটা ওঠে আসবে। কিন্তু আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণই করলাম ২০১৮ সালে এসে। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যখন উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন আমরা ছিলাম ৫৭তম দেশ। এখন সেটা ৭৫-৭৬টি দেশে পৌঁছেছে। এ কারণে বাজারে ব্যান্ডউইথের সাপ্লাই অনেক বেড়ে গেছে। চাহিদা কম থাকায় আমরা বিক্রি সেভাবে করতে পারছি না।

করোনা মহামারিও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাজার সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করেছে বলে জানান কোম্পানির সিইও। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০টি দেশে এবং ২০টি দেশের বাইরে বিক্রি করার কথা ছিল।

এখন পর্যন্ত স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের ১৫-১৬টি বিক্রি করতে পেরেছে কোম্পানি। বিদেশের মাটিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী বিক্রি করতে না পারায় দেশের বাজারে দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম সম্প্রসারণে খুব জোরালো চেষ্টা চালাচ্ছি। কয়েক মাসের মধ্যে সেটির ফলাফল আপনারা দেখতে পাবেন।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বর্তমান বাজার চিত্র তুলে ধরে বিএসসিএলের চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ মোট ৩৮টি টিভি চ্যানেল এবং ডিটিএইচ অপারেটর ‘আকাশ’ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর মাধ্যমে সম্প্রচার করছে। দেশের দুটি ব্যাংক এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে তাদের এটিএম সেবা দেওয়া শুরু করেছে। আরো অনেকগুলো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলমান আছে। বিএসসিএল বলছে, চাহিদার তুলনায় বিশ্ব বাজারে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথের সরবরাহ বেশি থাকায় এবং করোনা মহামারির কারণে বিদেশের বাজারে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বিপণন কার্যক্রম ব্যহত হয়। প্রতি মাসে যে ১০ কোটি টাকা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আয় করে, তার মধ্যে এক-দশমাংশ রক্ষণাবক্ষণ ব্যয়, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খরচে চলে যায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close