নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ মে, ২০২২

খালেদার সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির উদ্যোগ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিএনপি নেত্রীর আইনজীবীরা বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর না হওয়ার পর দুর্নীতি নির্মূলে কাজ করা সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন হলো খালেদা জিয়া সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছেন। কিন্তু তার আইনজীবীরা শুনানির জন্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।’ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেয় বিচারিক আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকও। তারা সাজার মেয়াদে সন্তুষ্ট ছিল না। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করে। এরপর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তারপর থেকে আজ অবধি এ মামলার শুনানি শুরু হয়নি।

তবে কেবল এই মামলা নয়, খালেদা জিয়ার দণ্ড হয়েছিল অন্য যে মামলায়, সেটির আপিল শুনানিতেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বিএনপি নেতার আইনজীবীরা। ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াসহ অন্য তিন আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করে হাইকোর্ট। এরপর থেকে মামলাটি সে অবস্থায় আছে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এভাবে তো বছরের পর বছর লিভ টু আপিল পড়ে থাকতে পারে না। আর কিছুদিন অপেক্ষা করব। যদি তারা শুনানির উদ্যোগ না নেন তাহলে দুদকের পক্ষ থেকে আমরা খালেদার লিভ টু আপিল শুনানির উদ্যোগ নেব।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাশাপাশি সাজা হয়েছে তার ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামির। বিচারিক আদালতই তাদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। বাকি চার আসামি হলেন সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে তারেক রহমান দেশের বাইরে। বাকিদের মধ্যে কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।

দুই বছরেরও কিছু বেশি সময় কারাগারে থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন বিএনপি নেত্রী। চলতি বছর ১৬ মার্চ খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা আরো ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সরকার। ফলে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কারাগারের বাইরে থাকবেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিতের মেয়াদ এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বাড়ল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close