নিজস্ব প্রতিবেদক
তেল নিয়ে ‘লুকোচুরি’
দাম বাড়ানোর পর শনি-রবিবার তেল পেয়ে দোকানিরা ভেবেছিলেন শিগগিরই স্বাভাবিক হবে সংকটে পড়া ভোজ্য তেলের বাজার। কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের মনে পড়ছে দাম বাড়ানোর আগে কোম্পানির আচরণের কথা। ক্রেতাদেরও অভিযোগ, এখনো তেলের বাজারে লুকোচুরি খেলা চলছে।
বাজারে তেলের সরবরাহ সংকটের অভিযোগ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, সব ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কারওয়ান বাজারে বিশেষ করে দুটি প্রতিষ্ঠান তীর ও ফ্রেশ তেল সরবরাহ করছে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন : রূপচাঁদা ও বসুন্ধরা তেল সরবরাহ করছে না। ডিলাররা বলছেন, তেল বাজারে আসবে, কিন্তু বাস্তবে তো আসছে না। প্রায় এক মাস আগে তেলের অর্ডার দিয়েছি, কিন্তু টাকা আটকে আছে, তেল সরবরাহ করা হয়নি।
বাজারে তেল সংকট কেন কাটছে না, তা খতিয়ে দেখতে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর কাপ্তান বাজারে একটি গুদামে এসে অবৈধভাবে ভোজ্য তেল মজুদের প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রির সত্যতা মেলে।
অভিযানকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করার জন্য ঈদের আগে তেল কিনে মজুদ করে রেখেছেন। যেহেতু ঈদের পর তেলের দাম বাড়বে বলা হচ্ছিল, তাই অতি মুনাফার আশায় এ কাজ করেছেন।
এসব অপরাধে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আগের দামে তেল বিক্রির নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি জনতা এন্টারপ্রাইজ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
"