উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০২২

পাখির সঙ্গে সখ্য

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের অতি পরিচিত কাশেম বিলের সড়কের ধারের বটতলার একমাত্র মুদি দোকানি হাচেন সরকার ওরফে বাঘা। বয়স ৬২ বছর। বছর পাঁচেক আগে বড় পাঙ্গাসী হাওড়া সাবমার্জিবল সড়কের ধারে ছোট দোকানটি দিয়েছিলেন তিনি। একেবারে ফাঁকা মাঠের প্রান্তরে দোকানটি সকালে এসে খুলে বসেন আর সন্ধ্যার পর পরই বন্ধ করে বাড়ি চলে

যান। দোকানের ওপর বিশাল বটগাছ। গাছটিতে থাকা শালিকসহ বিভিন্ন পাখপাখালিকে নিয়মিত খাবার দেন তিনি। এর মধ্যে একটি শালিক পাখির সঙ্গে সঙ্গে তার দারুণ বন্ধুত্ব। শালিক পাখিটির নাম দিয়েছেন ‘ময়না’। পাখিটি দোকান এলাকায় ঘুরে বেড়ায়, ময়না বলে ডাক দিলেই কাছে আসে। এরপর উড়ে এসে হাচেন আলী সরকার ওরফে বাঘার হাতে-কাঁধে মাথায় বসে। খুশিতে লাফায়। তারপর ভালোবাসা জানিয়ে ফের উড়ে চলে যায় ‘ময়না’।

এলাকায় হাচান আলী সরকার ওরফে বাঘা পাখি প্রেমিক বলে পরিচিতি। আর ময়নাকে ‘বাঘার পাখি’ বলে ডাকে স্থানীয়রা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কাশেম বিলে যারা বেড়াতে আসেন, ময়না তাদেরও কারো কারো কাঁধে-হাতে গিয়ে বসে। হাচেন সরকার ওরফে বাঘা প্রতিবেদককে জানান, পাখিটির বয়স প্রায় ১১ মাস। বাচ্চা অবস্থায় পাখিটি দোকানের কাছে পেয়েছিলেন। এরপর নিজ হেফাজতে রেখে লালন-পালন করছেন। খাবার খেতে দিচ্ছেন।

হাচেন আলী সরকারের বাড়ি দোকান থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে কোয়ালীবেড় গ্রামে। দূরের গ্রাম থেকে দোকানটিতে সকালে আসার সময় পাখিটি তার সঙ্গেই আসে। আর বিকাল ৪টার দিকে একাই উড়ে হাচেন আলী সরকারের বাড়ি ফিরে যায়। তার পরিবারের সবার সঙ্গেও ময়নার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। রাতে থাকার জন্য একটি খাঁচা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। হাচেন আলী আরো জানান, সন্ধ্যার পর পাখিটি একাই সেই খাঁচায় ঢুকে যায়। তিনি আরো জানান প্রতিদিন কাশেম বিলে বেড়াতে আসা অনেকেই তাকে ডেকে খাবার দেয়। দোকানের খদ্দেরদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে ময়নার। পাখির সঙ্গে হাচেন আলীর বন্ধুত্ব দেখতে অনেকেই ছুটে আসছেন খোলা প্রান্তরের বটগাছের নিচের ওই ছোট মুদি দোকানে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close