রাবি প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০২২

চিরকুট লিখে রাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

জাবি শিক্ষার্থীর সুইসাইড নোট

চিরকুট লিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম সাদিয়া তাবাসসুম। তিনি রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

সাদিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাহবুব রশিদ ফারুকের মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে নিজ ঘরে বাঁশের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দেন সাদিয়া। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে মৃত্যুর আগে সাদিয়া তার বাবার ডায়েরিতে লিখে গেছেন- ‘চোরাবালির মতো ডিপ্রেশন, বেড়েই যাচ্ছে, মুক্তির পথ নেই, গ্রাস করে নিচ্ছে জীবন, মেনে নিতে পারছি না।’

গতকাল বুধবার সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরীপুর থানার এসআই মাইনুল রেজা জানান, মাঝে বেশ কিছু দিন সাদিয়ার লেখাপড়া বন্ধ ছিল। যে কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সোহেল কবির বলেন, সাদিয়ার মৃত্যুর খবরটি আমরা জেনেছি। এটা খুব হতাশাজনক। আমাদের একজন শিক্ষার্থী এভাবে অকালে ঝরে যাবে, আমরা ভাবতেও পারেনি। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জাবি শিক্ষার্থীর বালিশের নিচে সুইসাইড নোট

এদিকে জাবি প্রতিনিধি জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ মারা যাওয়া শিক্ষার্থী অমিত কুমার বিশ্বাসের কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে নিহত শিক্ষার্থীর বিছানার বালিশের নিচে তার রুমমেটরা সেটি খুঁজে পান বলে জানিয়েছেন হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ।

অধ্যাপক সোহেল আহমেদ জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে দিকে ওর রুমমেটরা জানায় যে তারা অমিতের বালিশের নিচ থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে। পরে আমি হলে গিয়েছি। তারপর পুলিশকে জানালে আশুলিয়া থানা থেকে পুলিশ আসে। সুইসাইড নোটের লেখার সঙ্গে অমিতের লেখার মিল রয়েছে। বাকিটা পুলিশ দেখবে। রুমটি সিলগালা করা হয়েছে। ওর লাশ ময়নাতদন্ত হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা, বাবা, ছোটবোন, পারলে সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের জন্য সুইসাইড নোট, মোবাইল ও খাতা জব্দ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close