চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১২ মে, ২০২২

চসিকের পিসি রোডের কাজে জালিয়াতি

ঠিকাদারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পোর্ট কানেকটিং রোডের (পিসি রোডের) উন্নয়ন কাজে জালিয়াতির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সড়ক মেরামত ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের টেন্ডার নিয়ে সেটি অন্যজনকে দিয়ে করানো, কাজ অসমাপ্ত রেখে সরকারি প্রায় সাত কোটি টাকার ক্ষতিসাধন এবং এসব কাজের টেন্ডার দেখিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৪০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত মঙ্গলবার বিকালে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দুটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক। মামলায় দন্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।

দুদকের এ মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের টেন্ডারের কার্যাদেশ পাওয়া মেসার্স রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সাব-কন্ট্রাক্টর কুমিল্লার ঝাউতলা এলাকার মো. জাকির হোসেন। ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলম, ফেনী সদর এলাকার বাসিন্দা ছালেহ আহমদ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) এফভিপি মো. সরোয়ার আলম, এভিপি মো. আনিসুজ্জামান, এফএভিপি ছাইফুল আলম মজুমদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মাহমুদুল ইসলাম আরেফিন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার দেবু বোস। মো. সরোয়ার আলম, মো. আনিসুজ্জামান, ছাইফুল আলম মজুমদার, মাহমুদুল ইসলাম আরেফিন ও দেবু বোস ঋণ দেওয়ার সময়ে ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখায় কর্মরত ছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পোর্ট কানেকটিং রোডের (পিসি রোড) উন্নয়ন কাজ পায় রানা বিল্ডার্স। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. আলম চসিকের পিসি রোডের দুই প্যাকেজের কাজ নিয়ে জাকির হোসেন ও ছালেহ আহমদকে আমমোক্তার বানিয়ে সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ দেন। এই সুযোগে জাকির হোসেন রানা বিল্ডার্সের সঙ্গে নতুন একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান খুলে নিজেকে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজিয়ে ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখায় আলাদা আলাদা ব্যাংক হিসাব খুলে দুই কাজের বিপরীতে ২০ কোটি টাকা করে ৪০ কোটি টাকা ঋণ নেন। যা বর্তমানে সুদে আসলে ৪৬ কোটি ৩২ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে নিজেরা লাভবান হওয়া এবং অন্যদের লাভবান করার অসৎ উদ্দেশে চসিক উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ নেন। এরপর তারা নিজে না করে অন্যকে পুরো কাজের দায়িত্ব দিয়ে কাজটি সম্পন্ন না করে গণভোগান্তি সৃষ্টি করেন। এতে যথাক্রমে ৪ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৪২৯ টাকা এবং ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৮ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়। এছাড়া এ কার্যাদেশ দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close