রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বোরোর নতুন চাল ওঠা শুরু হয়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে দামও। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরায় এর প্রভাব পড়ছে ধীরগতিতে। তবে রাজধানীর পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা কমলেও সে অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে কমেনি।

খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম আগে যেখানে ৬২-৬৫ টাকা ছিল, গত সোমবার তা বিক্রি হয়েছে ৬১-৬৩ টাকায়। অন্যদিকে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৪৬-৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা।

জয়পুরহাটের বারী রাইস মিলের মালিক আমিনুল বারী টেলিফোনে জানান, তাদের জেলাসহ আশপাশের জেলায় মানভেদে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চাল আগে বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৮৫০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত। এ হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৫২-৫৮ টাকা, যা আগে ছিল ৫৭-৬৪ টাকা।

পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স ফরিদ রাইস এজেন্সির বিক্রয় প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং সরবরাহ আরো বাড়লে চালের দাম আরো কমে আসবে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের এম আর ট্রেডার্সের মালিক আনিছ খান বলেন, ‘আমি এখনো নতুন চাল ওঠায়নি। আমার কাছে মোজাম্মেলের মিনিকেট চাল ৬৬ টাকায় কেনা রয়েছে। এগুলো তো আমি কমে বেচুম না।’

একই বাজারের মেসার্স নোয়াখালী রাইস ট্রেডার্সের মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ঈদের পর দোকান খুলছি দুই দিন আগে। বেচাবিক্রি এখনো শুরু হয়নি। আমার কাছে পুরোনো চাল থাকায় এখনো নতুন ওঠায়নি।’

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি সরু বা চিকন চাল বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০-৬৮ টাকা। আর মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৪-৪৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৫-৪৮ টাকা।

এদিকে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত রবিবার পর্যন্ত দেশের সরকারি পর্যায়ে গুদামগুলোতে চালের মজুদ ছিল ১০ লাখ ৩৯ হাজার টন। একই সময়ে সরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার টন এবং বেসরকারি পর্যায়ে ৩ লাখ ৬ হাজার টন। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে ধান সংগ্রহ হয়েছে ৭৪ টন এবং চাল ৪৮ টন। সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও ১১ লাখ ৫০ হাজার টন চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

"