মাসুম বিল্লাহ, শরণখোলা (বাগেরহাট)

  ১১ মে, ২০২২

লোকালয়ে বাঘের গর্জন, পায়ের ছাপ

সুন্দরবন থেকে পথ হারিয়ে লোকালয়ে আসা রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি একের পর এক স্থান পরিবর্তন করে এখনো লোকালয়ে অবস্থান করছে। গত সোমবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলার পশ্চিম বানিয়াখালী এলাকার আ. হাকিম হাওলাদারের বাড়ির উঠানে বাঘের গর্জন শুনে ঘুম ভাঙে। আতঙ্কে ঘুম হয়নি পাশের মধ্য বানিয়াখালী, বাধাল ও ধানসাগর গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার পশ্চিম বানিয়াখালী এলাকার আ. হাকিম হাওলাদারের বাড়ির উঠান ও ঘরের দরজার সামনে রয়েছে বাঘের পায়ের শতাধিক ছাপ। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, গত ৪/৫ দিন ধরে ধানসাগর ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নে লুকিয়ে থাকা বাঘটিকে বনে ফিরিয়ে নিতে বনবিভাগের কোনো কর্মকর্তা বা বনরক্ষীদের বড় ধরনের কোনো অভিযান লক্ষ্য করা যায়নি। তাই তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

আ. হাকিম হাওলাদারের ছেলে নাঈম জানান, রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে হঠাৎ বাঘের গর্জন শুনে তার মা ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। এতে পুরো পরিবার বিশেষ করে নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখার জন্য বনরক্ষীদের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বাঘ আসার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বনবিভাগকে অবহিত করা হবে।

গত ৫ মে রাতে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল হোসেন খান তার মাছের ঘেরে একটি বাঘকে শুয়ে থাকতে দেখেন। পরের দিন ৬ মে রাত ৮টার দিকে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন হাওলাদার গরু খুঁজতে গিয়ে মাঠের মধ্যে বাঘ দেখে ডাকচিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে বাঘটি দৌড়ে পালিয়ে যায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close