পটুয়াখালী প্রতিনিধি

  ১০ মে, ২০২২

বললেন কৃষিমন্ত্রী

দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বিপ্লব নিয়ে আসব

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, পটুয়াখালীর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পানির সংকট আসছে। খালগুলো ভরে গেছে, সেচের ব্যবস্থা নেই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সøুইস গেটগুলো কাজ করে না। তাই দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে তিন-চার হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এই এলাকার কৃষিতে একটি বিপ্লব নিয়ে আসব যাতে দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

গতকাল সোমবার দুপুরে পটুয়াখালীর বদরপুরে মুগডাল আবাদের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কোনো জমি যাতে আর অনাবাদি না থাকে সেজন্য কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে আবহাওয়াসহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন করছে। এসব ফসল উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের সার, উন্নতমানের বীজ ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। পটুয়াখালীতে আগে কৃষকেরা শুধু ধান চাষ করত। শুকনো মৌসুমে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে অন্য কোনো ফসলের চাষ করা যেত না। কৃষি মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলে ডাল চাষের উদ্যোগ নেয়। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি মুগ-৬ চাষ করে এখানকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। দেশে মোট মুগডাল উৎপাদনের শতকরা ১০ ভাগ হচ্ছে পটুয়াখালীতেই। এখানে উৎপাদিত ডাল দেশের গন্ডি পেরিয়ে জাপানে রপ্তানি হচ্ছে। এটি আরো ব্যাপক হারে ছডিয়ে দেওয়া গেলে অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নানসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নেতা ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কালিকাপুর ইউনিয়নের শারিকখালীতে বোরো প্রদর্শনীর নমুনা ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসে অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close