আতিকুর রহমান আজাদ, কালকিনি (মাদারীপুর)

  ১০ মে, ২০২২

অপূর্ব সুন্দর মসজিদ

মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায় ১৬০০ শতাব্দীতে নির্মাণ করা মসজিদ আজও সৌন্দর্য বহন করে চলছে ঐতিহ্যবাহী কমলাপুর পাকা মসজিদ। মসজিদটি গৌরনদী ও কালকিনি উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত। আজো অপূর্ব সুন্দর এই মসজিদটির দৃশ্য।

স্থানীয় মসজিদের মুসল্লি এবং ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, ইট দিয়ে বানানো মসজিদটি একটু নিচু জায়গায় অবস্থিত। মসজিদের আয়তন বেশ বড়।

মসজিদের পূর্ব পাশে তিনটি ও উত্তর, দক্ষিণ দিকে একটি করে মোট পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। পূর্ব পাশের প্রবেশপথটি অন্য প্রবেশপথের চেয়ে বড়। মসজিদের কিবলার দিকে তিনটি অর্ধ-অষ্টভুজ মিহরাব আছে। মিহরাবটি বাইরের দিকে অভিক্ষিপ্ত এবং দুই প্রান্তে দুটি ছোট অষ্টভুজ বুরুজ রয়েছে। ইটের তৈরি এই মসজিদকে খিলানের সাহায্যে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক ভাগে একটি করে কন্দাকৃতির গম্বুজ আছে। সুলতানী বৈশিষ্ট্যের পোড়ামাটি দিয়ে মসজিদটি সাজানো হয়েছে। প্রবেশপথের আয়তাকার অংশ প্যাঁচানো ফুলেল নকশা, গোলাপ নকশা, জালি নকশা প্রভৃতি মোচিভ সংবলিত পোড়ামাটির ফলক দিয়ে সাজানো হয়েছে। মসজিদের প্রধান প্রবেশপথে যে শিলালিপিটি ছিল তা বর্তমানে হারিয়ে গেছে।

ঢাকার সুবেদার বাদশা সায়েস্তা খানের আমলে (১৬ শতাব্দী) মসজিদটি মাসুম খানের তৈরি বলে মনে করা হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে একটি সুরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটক আসেন মসজিদটি এক নজর দেখতে।

মসজিদটি বহুকাল আগের হলেও একটুও কমেনি এর সৌন্দর্য। এই প্রাচীন মসজিদে মুসল্লিরা প্রতিদিন আদায় করেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close