নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ মে, ২০২২

নতুন আমদানি নীতিতে নিষিদ্ধ পণ্য ২৬

তিন বছর মেয়াদি আমদানিনীতি আদেশ জারি করেছে সরকার। ২০২১-২৪ সালের নতুন এই আমদানিনীতিতে ২৬ শ্রেণির পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন আদেশটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। আগের আদেশে নিষিদ্ধ পণ্যের শ্রেণি ছিল ১২টি। তবে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬টিতে। এর আগে ২০১৮-২১ সময়ের আমদানিনীতি আদেশ হয়নি। আর আমদানিনীতি আদেশ ২০১৫-১৮-এর মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের ৩০ জুন। এরপর প্রায় চার বছর পর নতুন এই নীতি আদেশ জারি হলো।

নতুন আমদানি নীতিমালায় যে ২৬ শ্রেণির পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চিংড়ি, জীবিত শূকর ও শূকরজাত সব ধরনের পণ্য, পপি সিড ও পোস্তদানা, ঘাস, ওয়াইন লিজ ও আরগোল, ঘন চিনি, কৃত্রিম সরিষার তেল, নিম্নমানের পণ্য অথবা পুরোনো, ব্যবহৃত, রিকন্ডিশন্ড পণ্য বা কারখানায় বাতিলকৃত বা স্টকলটের পণ্য ইত্যাদি। এ ছাড়া পুরাতন বা ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, গ্যাস সিরিঞ্জ, দুই স্ট্রোক ইঞ্জিন ও চেসিসবিশিষ্ট থ্রিহুইলার যানবাহন অর্থাৎ টেম্পো, অটোরিকশা, ক্যাসিনোসহ জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ, রিকন্ডিশন্ড অফিস ইকুইপমেন্ট অর্থাৎ ফটোকপিয়ার, টাইপরাইটার, টেলেক্স, ফোন, ফ্যাক্স, পুরোনো কম্পিউটার, কম্পিউটারসামগ্রী ও পুরোনো ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, সব ধরনের শিল্প সøাজ ও সøাজ দিয়ে তৈরি সার ও যেকোনো পণ্য, সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ আমদানি নিষিদ্ধ বলেও গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

এগুলো ছাড়াও আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় আছে ‘স্টকহোম কনভেনশন অন পারসিস্ট্যান্ট অর্গানিক পলিউটনেস (পিওপি)’-এর আওতাধীন বিভিন্ন রাসায়নিক কীটনাশক ও শিল্পজাত দ্রব্য। এসব দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে এলড্রিন, ক্লোরডেন, ডিডিটি, ডাই-এলড্রিন, এনড্রিন, হেপ্টাক্লোর, মিরেক্স, টক্সফেন, হেক্সক্লোরোবেনজিন, পলিক্লোরিনেটেড বাই-ফিনাইল, হাইড্রোলিক হর্নসহ ৭৫ ডেসিবেলের ঊর্ধ্বমাত্রার সব হর্ন, পলি প্রোপাইলিন ও পলিথিন ব্যাগ ইত্যাদি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close