প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
লালশাকে ভাত লাল হয় কেন
সাত বছর বয়সি প্রিয়তার নানা প্রশ্ন তার বাবার কাছে। সেদিন টেবিলে বসে খেতে খেতে জানতে চাইল, বাবা! লালশাক দিয়ে ভাত মাখলে ভাত লাল হয়ে যায় কেন? আজ আমরা এ প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পেতে চেষ্টা করব। বলা হয়-রং যত গাঢ়, পুষ্টি তত বেশি। লালশাক খুব পুষ্টিকর। প্রথমে আসি লালশাকের রং লাল হওয়ার কারণ বিষয়ে। লালশাকের পাতার কোষে আছে ‘প্লাস্টিড’, সেখানে থাকে ক্লোরোফিল। ক্লোরোফিল আবার তিন প্রকার-ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট ও লিউকোপ্লাস্ট। লালশাকে ক্রোমোপ্লাস্ট থাকায় তা লাল রঙের হয়।
আবার যে সব গাছের পাতায় ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে সেগুলোর পাতা সবুজ হয়। ক্রোমোপ্লাস্ট থাকা পাতা লাল ছাড়াও কমলা বা হলুদ রঙের হতে পারে। আবার যেগুলোতে লিউকোপ্লাস্ট থাকে সেগুলো সাদা হয়। লালশাকে আবার আছে ‘ক্যারোটিন’। এ শাক সূর্য থেকে আসা সব রং শুষে নেয় এবং লাল রং ফিরিয়ে দেয় বলে তাকে লাল দেখায়। এবার আসি লালশাক দিয়ে মাখলে ভাত লাল হয়ে যায় কেন। শাকের রং লাল বলেই এমন হয় তা নয়, এমন অনেক সবুজ শাক আছে যা দিয়ে মাখলে ভাত সবুজ হয় না। পালংশাক দিয়ে ভাত মাখলে অল্প বিস্তর সবুজ হয়। ধনেপাতার ভর্তা মাখলেও ভাত সবুজ হয়। আবার পুঁইশাকে তা হয় না।
লালশাকে আছে জলে দ্রবণীয় অ্যান্থোসায়ানিন, এ উপাদানের জন্য লালশাক ভাত দিয়ে মাখলে ভাত লাল হয়ে যায়। আমাদের পরিচিত ফল জামেও থাকে এ অ্যান্থোসায়ানিন, যে কারণে জামের রস হাতে লেগে। কিন্তু অ্যান্থোসায়ানিন সবুজ শাকে থাকে না, ক্লোরোফিল যদি জলে দ্রাব্য হতো তবে পালংশাকও ভাতকে সবুজ করত।
"