সংসদ প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

সংসদে ইনু

কয়েকজন ভিসি শিক্ষার্থীদের উসকে দিচ্ছেন

দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা শিক্ষার্থীদের ‘সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন’ বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। গতকাল বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় ইনু বলেন, ‘কিছু সমস্যা যা কাঁটার মতো পায়ে বিঁধছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কারো কারো কাণ্ডজ্ঞানহীন কথাবার্তা, আচার-আচরণ দুঃখজনক।’

‘ভাব দেখে মনে হচ্ছে, কিছু ভিসিরা ছাত্রছাত্রীদের সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলার মিশনে নেমেছে। এটা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।’

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদের সভাপতির এমন বক্তব্য এলো।

হাসানুল হক ইনু বলেন , ‘এখন ভিসিরা সবাই মিলে শাহজালালের উপাচার্যের জন্য দল পাকিয়েছেন। এটা যেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বিব্রতকর, তেমনি সরকারের জন্যও বিব্রতকর। এ কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি হিসাবে আমি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে সার্চ কমিটির বিধানের কথা বলেছিলাম। এতে হয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণœ হবে বলে কথা উঠবে।’

জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, ‘মৌসুমে মৌসুমে জঙ্গি তাণ্ডব, জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে প্রমাণ হয়, হেফাজত-জামায়াত-জঙ্গি এরা বদলায়নি। এরা বাংলাদেশের রেজিস্টার্ড বেইমান। পাকিস্তানপন্থার ধারক ও বাহক। এদের আত্মা পাকিস্তানি। এই সাম্প্রদায়িক চক্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে হারাম বলে। আর ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে গেলে তারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে হালাল বলে। আরাম মনে করে। এই দ্বিমুখী চালবাজির রাজনীতি বন্ধ করা দরকার। এটা প্রমাণ হয় যে জঙ্গিরা হচ্ছে মাঠের অ্যাক্টর। জামায়াত হচ্ছে ডিরেক্টর। বিএনপি হচ্ছে প্রডিউসার। সুতরাং এরা পাক রুহানি শক্তি দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত। জেনেটিকালি সম্পর্কযুক্ত। তিনপক্ষকেই দমন ও বিদায় জানানো উচিত।’

হেফাজতের তাণ্ডব, ধ্বংস ও এর ক্ষয়ক্ষতির ওপর শ্বেতপত্র প্রকাশের পাশাপাশি দুর্গাপূজার সময় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়ার দাবি জানান ইনু। ধর্মীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন জরুরি বলেও তিনি মত দেন।

ইনু বলেন, ‘সাম্প্রতিক ইউপি নির্বাচনে যে রক্তারক্তি-খুনোখুনি হয়েছে, তার দায় প্রশাসন এবং পুলিশ এড়াতে পারে না। তাদের এই দায় নেওয়া উচিত এবং সংশোধান হওয়া উচিত। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য ওঠাণ্ডনামা মূল্যস্ফীতির জন্য নয়, বাজার কারসাজির জন্য। এ ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close