reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

উন্নয়নে সাজবে শহর

দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেছি। সড়ক, ড্রেনেজব্যবস্থা, নতুন বাজারকে উন্নতকরণ, ফুটপাত ও আধুনিক অডিটোরিয়াম, ঐতিহ্যবাহী ডাকবাংলো পুকুর সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে দৃষ্টিনন্দন স্ক্যাপচার স্থাপন, পৌরভবনের আধুনিকায়নসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। ভবনের নকশা অনুমোদন, পানির সংযোগ, জন্ম-মৃত্যুসনদ, ট্রেড লাইসেন্স পেতে এখন আর নাগরিকদের হয়রানির শিকার হতে হয় না। প্রতিদিনের সংবাদকে কথাগুলো বলছিলেন শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি আবদুুস শুকুর।

নয়নাভিরাম, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের চা বাগান ও পর্যটন কেন্দ্র শ্রীমঙ্গল পৌরসভা। ১৯৩৫ সালে ২ দশমিক ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে ছোট পরিসরে এই পৌরসভার যাত্রা শুরু। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। মৌলভীবাজার জেলার রূপসপুর ও সুনগইড় মৌজার সমন্বয়ে গঠিত শ্রীমঙ্গল পৌরসভার আয়তন ২ দশমিক ৫৮ বর্গকিলোমিটার। পৌরসভায় মোট ভোটার ২০ হাজার ৯৯ জন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ছিল ‘গ’ শ্রেণির। ১৯৯৪ তে ‘খ’ শ্রেণি এবং ২০০২ সালে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয় এই পৌরসভা। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভার নির্বাচনে মো. মহসিন মিয়া মধু চতুর্থবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। চা বাগানঘেরা এই পৌরসভার সড়ক যোগাগাযোগ, সড়ক বাতি, ড্রেনেজের ময়লা অপসারণ, ফুটপাত দখল, যানজট ও ময়লার ভাগাড় স্থানান্তর নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র মহসিন মিয়া মধু। তিনি বলেন, এখন পৌর এলাকার কোনো ব্যবসায়ীকে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শিকার হতে হয়নি। তারা নির্বিঘেœ ব্যবসা করছেন। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত বাসযোগ্য নান্দনিক শহর গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। শহর থেকে মাদক নির্মূলে প্রশাসনের সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। শহরের অনেক দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত নির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। এর থেকে সুফল পাচ্ছেন নাগরিকরা।

মেয়র জানান, পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কের মালিকানা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। ফলে সংস্কারের অভাবে সড়কগুলোয় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পৌরবাসী এবং পর্যটকদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখন সাধারণ মানুষের দাবি এই সড়কগুলো পৌরসভার অধীনে নিয়ে আসার। সে চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া পৌরসভার আধুনিকায়নে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় কাঁচা বাজারটি সাগরদীঘি পুকুরপাড়ে স্থানান্তর, সাগরদীঘির সৌন্দর্যবর্ধন, কালিঘাট রোড, কলেজ রোড, জালালিয়া রোড, সিন্দুরখান রোড প্রশস্তকরণ, প্র্রত্যেক সড়কে দৃষ্টিনন্দন এলইডি সড়ক বাতি স্থাপনের কথা রয়েছে।

মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার উপর দিয়ে প্রবাহিত ভুরভুড়িয়া ছড়া ও শাখা মোড়া ছড়া খনন এবং সংস্কার করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। এর ফলে বর্ষাকালে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি ছড়ার পাশ দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে পৌরসভার কালিঘাট রোডের করবস্থানের সংস্কার কাজ চলছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার। আমরা পৌরসভা থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য কলেজ রোডে একটি সাততলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

মেয়র মহসিন মিয়া মধু বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবি ফান্ড থেকে বরাদ্দ এনে পৌরসভার আধুনিকায়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। পৌরসভার আয় ও সরকারি বরাদ্দ দিয়ে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্র বিবেচনায় পৌরসভার উন্নয়নে সরকারের আরো অধিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

স্কুল-কলেজের সামনে থেকে ময়লার ভাগাড় স্থানান্তর ও রিসাইক্লিং সেন্টার নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র জানান, জেটি রোডের হাওর এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ করে ময়লা ফেলার কার্যত্রুম শুরু হলে এ নিয়ে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

শহরের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবি শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক স্থাপন প্রসঙ্গে মেয়র জানান, একটি পাবলিক লাইব্রেরি ও শিশুদের বিনোদনের জন্য একটি পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা অনিন্দ সৌন্দর্যের একটি বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে উঠবে। এ জন্য প্রয়োজন পৌরবাসীর সহযোগিতা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close