নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

জাতিসংঘ দূতকে বাংলাদেশ

নিরাপত্তা-ঝুঁকি বাড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা, সমাধানে ভূমিকা নিন

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান মাদক পাচারের মতো নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে। যার প্রভাব এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা চেয়েছেন।

গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক নতুন দূত নুয়েলিল হেইজারের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় পররাষ্ট্র সচিব এই অনুরোধ জানান। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তাদের মধ্যে ওই আলোচনা হয়।

মিয়ানমারের আদি নিবাসে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টিতে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মাসুদ বিন মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রত্যাশার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন।

রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছরের মাথায় এসেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় পররাষ্ট্র সচিব হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে নানা রকম চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান মাদক পাচারের মতো নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করেছে। নিরাপত্তা ঝুঁকির এই প্রভাব পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

মাসুদ বিন মোমেন রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের দপ্তরের কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিশেষ দূতের এ ধরনের কাজ এবং এই অঞ্চলে কাজের অভিজ্ঞতা সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি আনতে পারে।

মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি নিপীড়িত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে অভাবনীয় মানবতা দেখানোয় নুয়েলিল হেইজার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত তার কাজের অগ্রাধিকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা পররাষ্ট্র সচিবকে জানান। তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান তার কাজের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবে।

২০২১ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তার মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নুয়েলিল হেইজারকে নিয়োগ দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close