নিজস্ব প্রতিবেদক
অপকর্মে লিপ্তদের পুলিশে ঠাঁই নেই
- বললেন আইজিপি
বাংলাদেশ পুলিশে সূক্ষ্ম বাছাইয়ের মাধ্যমে সেরাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং অসৎদের বাহিনীতে কোনো ঠাঁই নেই উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, যদি পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অসম্মান-অপমান বয়ে নিয়ে আনে তাকে পরিত্যাগ করা হবে। পুলিশ বাহিনীতে তার কোনো আশ্রয় হবে না।
গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শিল্ড প্যারেড, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগের নিয়ম প্রায় ৪০ বছর পর পরিবর্তন করা হয়েছে। এরই মধ্যে কনস্টেবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এসআই নিয়োগ চলছে। নিয়োগ পদ্ধতি অত্যাধুনিক করা হয়েছে। অত্যাধুনিক এই নিয়োগ পদ্ধতির মাধ্যমে সেরাদের মধ্যে সেরাদের নিয়োগ দিতে সক্ষম হব।
আইজিপি বলেন, যারা পুলিশে আসবে তাদের মনে রাখতে হবে এটা পেশা নয়, এটা সেবামূলক চাকরি। আমরা পুলিশ বাহিনীর জন্য সৎ, দেশপ্রেমিক ও সাহসী লোক খুঁজছি। যাদের মধ্যে এই ৩টি গুণ ও সেবার মনোভাব থাকবে তারাই পুলিশে আসবে।
পুলিশ সদস্যদের অপকর্মে জড়ানোর বিষয়ে আইজিপি বলেন, ২০৪১ সালে আমরা ধনী রাষ্ট্র হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। সেই রাষ্ট্রের জন্য পুলিশকেও প্রস্তুত হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা ইতিমধ্যে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান করছি। আমরা চাই না পুলিশের কোনো সদস্য অপকর্মে লিপ্ত হোক। পুলিশের কোনো সদস্য যদি অপকর্মে লিপ্ত হয়, পুলিশ বাহিনীর জন্য অসম্মান বয়ে আনে! তাকে আগে বাহিনী থেকে পরিত্যাগ করা হবে।
আইজপি বলেন, আমরা চাই না পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অপকর্মে লিপ্ত হন। আমাদের পুলিশ বাহিনীর প্রতি সদস্যের জন্য সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
ড. বেনজীর বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। কিন্তু সমাজের যে প্রত্যাশা তা কখনো কখনো আমাদের সীমাবদ্ধতাণ্ডসামর্থ্যকে ছাড়িয়ে যায়। পুলিশের প্রতি মানুষের যে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা রয়েছে সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্রতী হবে। সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দিয়ে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। এর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিভিন্ন অভিযানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও চোরাচালানি পণ্য উদ্ধারে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও চোরাই মালামাল উদ্ধারের জন্য বিজয়ীরা হলেন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ২০২০ সালে ‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ পুলিশ, দ্বিতীয় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ এবং তৃতীয় পাবনা জেলা পুলিশ। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় যশোর জেলা পুলিশ ও তৃতীয় নোয়াখালী জেলা পুলিশ। ‘গ’ গ্রুপে এপিবিএন প্রথম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও রাজবাড়ী জেলা পুলিশ তৃতীয়।
‘ঘ’ গ্রুপে র?্যাব-৭ চট্টগ্রাম প্রথম, র?্যাব-৫ রাজশাহী দ্বিতীয় ও র?্যাব-১৫ কক্সবাজার তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ প্রথম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ দ্বিতীয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মতিঝিল বিভাগ তৃতীয়।
২০২১ সালে ‘ক’ গ্রুপে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথম, পাবনা জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম কক্সবাজার জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় নরসিংদী জেলা পুলিশ ও তৃতীয় নোয়াখালী জেলা পুলিশ। ‘গ’ গ্রুপে এপিবিএন প্রথম, গাজীপুর জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও রাজবাড়ী জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘ঘ’ গ্রুপে র?্যাব-৭ চট্টগ্রাম প্রথম, র?্যাব-৫ রাজশাহী দ্বিতীয়, র?্যাব-১৫ কক্সবাজার তৃতীয়।
‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রানসলেশনাল ক্রাইম দ্বিতীয় ও যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ ও ওয়ারী বিভাগ।
মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ২০২০ সালে পুরস্কার পেল যারা
‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, কমিল্লা জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘খ’ গ্রুপে কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রথম, যশোর জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও ঢাকা জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় লালমনিরহাট জেলা পুলিশ ও তৃতীয় চূয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ।
‘ঘ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে র?্যাব-৫ রাজশাহী, র?্যাব-৪ মিরপুর ঢাকা দ্বিতীয়, র?্যাব-১৫ কক্সবাজার তৃতীয় হয়েছে। ‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ, দ্বিতীয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রমনা বিভাগ ও তৃতীয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ। ‘চ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে হাইওয়ে পুলিশ, দ্বিতীয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও তৃতীয় রেলওয়ে পুলিশ।
২০২১ সালে মাদকদ্রব্য উদ্ধারে বিজয়ী যারা
‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ও তৃতীয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ ও তৃতীয় যশোর জেলা পুলিশ। ‘গ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় লালমনিরহাট জেলা পুলিশ ও তৃতীয় গাজীপুর জেলা পুলিশ। ‘ঘ’ গ্রুপে র?্যাব-৭ প্রথম, র?্যাব-১৫ দ্বিতীয় ও র?্যাব-১১ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
‘ঙ’ গ্রুপে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ প্রথম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ দ্বিতীয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ তৃতীয়। ‘চ’ গ্রুপে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন প্রথম, হাইওয়ে পুলিশ দ্বিতীয় ও রেলওয়ে পুলিশ তৃতীয়।
চোরাচালান মালামাল উদ্ধারের ২০২০ সালে বিজয়ী যারা
‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও তৃতীয় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। ‘খ’ গ্রুপে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ প্রথম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ দ্বিতীয় ও বান্দরবান জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘গ’ গ্রুপে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রথম, লালমনিরহাট জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও পঞ্চগড় জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘ঘ’ গ্রুপে র?্যাব-৩ প্রথম, র?্যাব-১০ দ্বিতীয় ও র?্যাব-৭ তৃতীয়। ‘ঙ’ গ্রুপে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ প্রথম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগ দ্বিতীয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তেজগাঁও বিভাগ তৃতীয়। ‘চ’ গ্রুপে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন প্রথম, রেলওয়ে পুলিশ দ্বিতীয় হাইওয়ে পুলিশ তৃতীয়।
২০২১ সালে চোরাচালান মালামাল উদ্ধারে বিজয়ী যারা
‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথম, কুমিল্লা জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও সিলেট জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ, দ্বিতীয় বাগেরহাট জেলা পুলিশ ও তৃতীয় হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। ‘গ’ গ্রুপে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ প্রথম, পঞ্চগড় জেলা পুলিশ দ্বিতীয় ও লালমনিরহাট জেলা পুলিশ তৃতীয়। ‘ঘ’ গ্রুপে র?্যাব-১০ প্রথম, র?্যাব-৭ দ্বিতীয় ও র?্যাব-১৪ ময়মনসিংহ তৃতীয়।
‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রমনা বিভাগ, দ্বিতীয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিরপুর বিভাগ ও তৃতীয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লালবাগ বিভাগ। ‘চ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, দ্বিতীয় রেলওয়ে পুলিশ ও তৃতীয় হাইওয়ে পুলিশ।
"