reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি, ২০২২

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

টেকসই উন্নয়নই লক্ষ্য

পৌর শহরে টেকসই উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। শহরের রাস্তাঘাটের চিত্র পাল্টে দেওয়া হবে। থাকবে না কোনো মাদক ও সন্ত্রাস। টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করা হবে। এখন যত দিন মেয়র হিসেবে দায়িত্বে আছি সুবিধাবঞ্চিত পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করব- প্রতিদিনের সংবাদকে কথাগুলো বলছিলেন নলছিটি পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঝালকাঠি প্রতিনিধি মো. শাহাদাত হোসেন মনু।

১৫০ বছর আগে ব্রিটিশ শাসন আমলে প্রতিষ্ঠিত হয় নলছিটি পৌরসভা। ওই সময় পাক-ভারতে ৩টি পৌরসভা (মিউনিসিপালিটি) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা প্রথম পৌরসভা। ময়মনসিংহ দ্বিতীয় এবং নলছিটি তৃতীয়। তবে এখনো প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হতে পারেনি নলছিটি পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ২৪.১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত গ্রাম ভিত্তিক নলছিটি পৌরসভাটি। বর্তমান মেয়র আবদুল ওয়াহেদ খান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ২০২০ সালের পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন।

মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই। ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি-নলছিটি) আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর আশীর্বাদ এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সুদৃষ্টি নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পরই পৌরবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় পৌর শহরের প্রধান সড়ক পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ২০ বছর নলছিটি পৌরসভায় কাউন্সিল ছিলাম। কাউন্সিল থাকাবস্থায় পৌরবাসীর সুবিধা-অসুবিধা কাছ দেখেছি। পরে পৌরবাসীর ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। দায়িত্ব নেওয়ার পরই একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে পৌরসভার রাস্তাঘাটের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। নেই হাট-বাজার কমিটি, ডাম্পিং স্টেশন। বাজার কমিটি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। ফলে পৌরবাসীকে চড়া দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হাট-বাজার কমিটি করা উদ্যোগ নিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যেই এর বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়া ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় সুগন্ধা নদীতে বর্জ্য ফেলতে হচ্ছে। তাই ডাম্পিং স্টেশনের জায়গা খুঁজছি। এরই মধ্যে পৌর শহরের একমাত্র খেলার মাঠ চায়না মাঠের চারপাশে জনস্বার্থে ওয়াক নির্মাণ করেছি। পৌরবাসী যার সুফল ভোগ করছে।

মেয়র আরো বলেন, একটি মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে সুশীল সমাজের নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি করে দেব। যারা পৌর এলাকার অসংগতিগুলো আমার নজরে আনলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারব। এ পৌরসভার অধিকাংশ মানুষ নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত। তারা পৌরকর পরিশোধ করলেও নাগরিক সুবিধা পান না। তাই যারা নাগরিক সুবিধা পান না তাদের করের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close