নিজস্ব প্রতিবেদক
সচিবালয়ে দর্শনার্থী পাস নয়
দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পর নানা বিধিনিষেধের মধ্যে এবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্য কেউ রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিচালনার কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। আপাতত কোনো দর্শনার্থী পাস ইস্যু করা হবে না। গতকাল রবিবার তথ্য অধিদপ্তরের এক বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘২৪ জানুয়ারি থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
টানা ১৫ দিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় ২১ জানুয়ারি।
এর আগে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
সংক্রমণ পরিস্থিতি ওঠাণ্ডনামার মধ্যেই চলতি মাসে প্রভাব ফেলতে শুরু করে ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। এমন প্রেক্ষাপটে বেশকিছু বিধিনিষেধ দেয় সরকার। তবে কার্যত করোনার বিধি উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।
সর্বশেষ শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। যে কারণে করোনা বাড়ছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে ১১ দফা স্বাস্থ্যবিধি দেওয়া হয়েছে। সে বিধিনিষেধ যদি যথাযথ বাস্তবায়ন হয়, তাহলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো।’
১১ দফা বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে। সংক্রমণ যাতে কমে সে জন্য এই সিদ্ধান্ত। পরিবার, দেশ ও নিজের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিয়মগুলো মানতে হবে। সরকার বিধিনিষেধ দেন, যাতে আমরা মেনে চলি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে খেলাধুলা আছে সেখানে টিকা সনদের পাশাপাশি টেস্টের সনদও লাগবে। এগুলো বইমেলায়ও দেখাতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বইমেলা পেছানো হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো আমরাও চলমান পরিস্থিতির বাইরে নই।’
নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রশাসনের জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাইব, তারা যেন আরো নজরদারি বাড়ান। জনগণের দায়িত্ব আরো বেশি। নিজেদের সুরক্ষায় এটি পালন করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।’
"