নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

বড় বিপদের আশঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

‘আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া অশুভ ইঙ্গিত। আমরা যদি নিজেদের সংবরণ না করি, এটাকে প্রতিহত করার চেষ্টা শক্তিশালী না করি তবে পরে বিপদের বড় আশঙ্কা আছে।’ গতকাল সোমবার বিকালে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।

মহাপরিচালক আরো জানান, শনাক্তের হার দুই সপ্তাহ আগেও ২ শতাংশের নিচে ছিল। গতকাল ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। দুই সপ্তাহের মধ্যে অনেকখানি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘অনেকে ভাবছে ওমিক্রনে ভয়ের কারণ নেই। কারণ এখানে মৃত্যুর হার কম। আমাদের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং আইইডিসিআর জিনোম সিকোয়েন্স করছে। তারা বলছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের হার বেশি। ওমিক্রন বাড়ছে, তবে সেটা ডেল্টার মতো না। ঢাকায় ওমিক্রনের হার বেশি। তবে সামগ্রিকভাবে ডেল্টার প্রাধান্য সব জায়গায় বেশি। অন্যান্য শহরে ওমিক্রন নেই। এখানে যেটা বাড়ছে সেটা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্টের পরিণতি আপনারা আগেই দেখেছেন।’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কল্যাণ) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, সোমবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৮০ শতাংশের টিকা নেওয়া ছিল না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সময় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৮০ শতাংশ করোনার টিকা নেননি। বাকি ২০ শতাংশ নানা ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তবে এখনো কোনো ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কি না সে তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে নেই। জেনোম সিকোয়েন্সিং করতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে।

করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সংক্রমণ বৃদ্ধি অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে। ঢাকায় ওমিক্রনের সংক্রমণ বেশি। তবে অন্যান্য জেলায় এখনো ডেল্টার সংক্রমণ অব্যাহত আছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, স্কুলে যায় না, এমন শিশু-কিশোরদের প্রশাসনের সহায়তায় টিকা দেওয়া হবে। ছাত্রদের টিকা দেওয়া শেষ হলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কলকারখানার শ্রমিক, পরিবহন খাতের শ্রমিক ও হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা দেওয়া হবে।

অধিদপ্তরের অন্য অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবীর বলেন, এখন দৈনিক ২৫০ টন অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close