reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

আলোকিত পৌর নগর গড়ব

উন্নয়ন নেই বললেই চলে, ভাঙা রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল, আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান নেই, নেই পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। নানা সমস্যায় জর্জরিত বগুড়ার গাবতলী পৌরসভা। এসব সমস্যা সমাধান করে আধুনিক নাগরিক সুবিধা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে চান পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত মেয়র সাইফুল ইসলাম। উন্নত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাসহ উন্নয়নের সুফল তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছানো সবমিলিয়ে একটি মডেল পৌরসভা গঠনই তার লক্ষ্য। এজন্য তিনি সরকারি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন। পৌরসভার উন্নয়নসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন তিনি প্রতিদিনের সংবাদের কাছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বগুড়া প্রতিনিধি আবদুস সালাম বাবু।

২০০২ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত বগুড়ার গাবতলী পৌরসভা ‘খ’ শ্রেণির। ১৭ হাজার ৪২৩ জন ভোটার রয়েছে এই পৌরসভায়। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন। প্রথমবার তিনি উপনির্বাচনে দেড় বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, পরে দ্বিতীয়বার এবং চলতি বছরে আবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি পৌরবাসীর। সবগুলো ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা, পৌর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট ভাঙা, কার্পেটিং উঠে রাস্তায় খানাখন্দক সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে অনেক স্থানে পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পৌরবাসীর আরেক সমস্যা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান নেই, পৌর এলাকার অধিকাংশ টিউবওয়েলের পানিতে আয়রন রয়েছে। পানি সরবরাহের পাইপ স্থাপন হলেও সুপেয় পানিসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য পানির ব্যবস্থাও নেই। পৌর এলাকার রাস্তায় লাইট না থাকায় রাতের বেলা চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সবমিলিয়ে নানান সমস্যায় জর্জরিত বগুড়ার গাবতলী পৌরসভা।

এদিকে সরকারি বরাদ্দ কম, রাজস্ব আয় কম, বিশেষ বরাদ্দ না থাকায় জনগণের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান মেয়র সাইফুল ইসলাম। তিনি উন্নয়ন বৈষ্যমের শিকার বলে অভিযোগ করে জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পৌরবাসীর উন্নয়নে কাজ করছেন। ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলার অনুপযোগী রাস্তাগুলো পুনর্নির্মাণকাজ করেছেন। পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার কার্পেটিং, আরসিসি ঢালাই, ড্রেন নির্মাণ, গাইডওয়াল ও কালভার্ট নির্মাণকাজ হাতে নিয়েছেন, বরাদ্দ সাপেক্ষে এসব কাজ সম্পন্ন করা হবে।

মেয়র প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিবেদককে জানান, একটি আলোকিত পৌরসভা তিনি গঠন করতে চান। এজন্য পৌর এলাকার সব রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে, পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য ব্যবস্থাসহ পৌর এলাকার প্রতিটি সড়ক আলোকিত করতে সড়কে লাইট স্থাপন করব। কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ, মহল্লার রাস্তাগুলো আরসিসি ঢালাই, রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধনে প্রকল্প গ্রহণ, পৌর এলাকায় যানবাহন চলাচলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকায়ন করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতসহ শতভাগ শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে তিনি কাজ করছেন। তরুণ যুবসমাজকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করতে নিয়মিত ক্রীড়াচর্চায় তিনি উৎসাহ প্রদানসহ ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করে থাকেন। পৌর পরিষদের সব কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করেছেন।

মেয়র বলেন, পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করাসহ উন্নয়নের সুফল জনগণের দ্বারে পৌঁছে দিতে কাজ করছি। তবে রাজস্ব আদায়ের উৎস কম থাকায় ইচ্ছে থাকলেও উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করতে পারছি না। উন্নয়নের জন্য এডিবির বরাদ্দের অপেক্ষায় থাকতে হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close