নাজমুল সাঈদ সোহেল, চকরিয়া (কক্সবাজার)

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২২

চকরিয়া-মাতারবাড়ী

২৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ

বন্দর নগর ও সমুদ্র তীরবর্তী পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে মেগা প্রকল্পগুলোর অর্থনৈতিক সুফল পেতেই মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চট্টগ্রামণ্ডকক্সবাজার রেললাইনের চকরিয়া অংশ থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গেও যুক্ত হবে এই রেলপথ। প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষে ডিজাইনের কাজও শেষ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে সরাসরি রেলপথে কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পরিবহন করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম বলেন, পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সিঙ্গাপুর, হংকংসহ দ্বীপভিত্তিক অর্থনৈতিক হাবগুলোর আদলে কক্সবাজারকে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাই গভীর সমুদ্রবন্দরের পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য রেল ও সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকাণ্ডকক্সবাজার রেলপথকে ধলঘাটায় বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রামণ্ডকক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে। চট্টগ্রামণ্ডকক্সবাজার রেললাইনের চকরিয়া অংশে যুক্ত হবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে আসা রেললাইনটি। এছাড়াও ধলঘাটের বন্দর এলাকায় সড়কপথে যেতে হলে বেশ কিছু নদী পার হতে হয়। কক্সবাজার থেকে ধলঘাট পর্যন্ত উন্নত সড়ক ও সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২৭ কিলোমিটার সড়ক ও ১৭টি সেতু নির্মাণের কথা ভাবছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই বিষয়ে ঢাকাণ্ডচট্টগ্রামণ্ডকক্সবাজার ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ নির্মাণ সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (প্রকৌশল) মো. আবিদুর রহমান জানান, চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের ডিজাইনও হয়ে গেছে। এখন আমরা ফান্ডের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার পরই মূল প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। এই ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে অনেক ছোট-বড় নদী-খাল রয়েছে। বড় নদী আছে দুটি, খাল আছে অনেক। তাই এই ২৬ কিলোমিটারের মধ্যে ১১ কিমি এলিভেটেড হবে। এই প্রকল্পে ৪৫০ একর ভূমির দরকার হবে। এজন্য বিশাল ফান্ডের দরকার। প্রকল্প ব্যয় এখনো ফাইনাল হয়নি তবে প্রিলিমিনারি ১৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে সরাসরি রেলপথে কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পরিবহনের এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close