reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ জানুয়ারি, ২০২২

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

মডেল শহর গড়েছি

নির্বাচনের ইশতেহারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে প্রায় শেষের পথে ইশতেহারের কাজ। পর্যায়ক্রমে একটি আধুনিক পৌর অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করা হবে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়ে তৃতীয় শ্রেণির অবহেলিত পৌরসভাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছি। অসমাপ্ত ও পরিত্যক্ত পৌরভবনকে দৃষ্টিনন্দন করেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও কাউন্সিলরদের সম্মানী পরিশোধ করে আসছি। প্রতিদিনের সংবাদের সঙ্গে আলাপে কথাগুলো বলছিলেন বেতাগী পৌরসভার মেয়র এ বি এম গোলাম কবির। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি মো. নিজাম উদ্দিন স্বাধীন।

১৯৯৯ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বেতাগী পৌরসভার, যার আয়তন ১০.৬ বর্গকিলোমিটার। এটি ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা। জনসংখ্যা ২৩ হাজার ৬৩৪। ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন এ বি এম গোলাম কবির। তিনি বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

পৌরসভার প্রধান সমস্যা বিশুদ্ধ পানি, রাস্তা, ড্রেন টিউবওয়েল, ব্রিজ। তবে ধীরে ধীরে সেসব সমস্যা সমাধানের শেষের পথে, সব কিছুই আলহাজ এ বি এম গোলাম কবিরের হাত ধরে এগিয়েছে।

মেয়র গোলাম কবির বলেন, পৌরবাসীর সুবিধার্থে আমি প্রথম দ্বিতীয় টাউন ব্রিজ নির্মাণ করি। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু পৌর অডিটরিয়াম, শেখ রাসেল স্কোয়ার, মুক্তিযুদ্ধ বিজয় স্তম্ব, দুর্জয় বেতাগী, আল্লাহ ও মোহাম্মদ (সা.) এর নামে বন্ধু চত্বর, শহীদ মিনার, উপজেলা পরিষদের পুকুরের চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি, শিশুদের বিনোদনের জন্য মিনিপার্ক ও পানির ফোয়ারা নির্মাণ, মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য পাঠাগার, খেলাধুলার ব্যবস্থা ও ব্যায়ামাগার নির্মাণ, এমএ মান্নান মৃধা পৌর সুপার মার্কেট, আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণ, পৌর এলাকার প্রায় সব রাস্তা আরসিসি, কার্পেটিং ও সিসিকরণ, কালভার্ট নির্মাণ, পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০ হাজার ফুট আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করেছি। এছাড়া নদী ও খালে প্রায় ২০০ আরসিসি ঘাটলা, ১৫০টির মত গভীর নলকূপ ও ২০টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, পৌরশহরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখার জন্য বিভিন্ন স্থানে ২০টি ডাস্টবিন নির্মাণ, পৌর এলাকাকে আলোকিত করার জন্য রোড লাইট স্থাপন, বাসস্ট্যান্ডসহ পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।

মেয়র বলেন, শিক্ষার জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পৌরসভার অর্থায়নে হাইজিন মালামাল বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজসহ প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাজ চলমান আছে।

মেয়র আরো বলেন, ভবিষ্যতে বেতাগীতে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ, খেলার জন্য পৌর স্টেডিয়াম, শিশু পার্ক, শহর রক্ষাবাদ, পৌর গোরস্তান, শ্মশানঘাট, ডাম্পিং সাইড নির্মাণ, এফএসএম নির্মাণ, ৪ ও ৯নং ওয়ার্ডে তৃতীয় টাউন ব্রিজ নির্মাণ, পৌরশহরের মেয়র টাওয়ার নার্সারি, পৌরসভার মাধ্যমে ২৫নং বাসস্ট্যান্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনতলা সাইক্লোন সেল্টার কাম স্কুল নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। পৌরসভার মাধ্যমে পরিচালিত স্কুল, কলেজ স্থাপন করার জন্য পৌর পরিষদের সভায় এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মেয়র আরো বলেন, জনগণের মতামত গ্রহণের জন্য তিন মাস পরপর প্রতি ওয়ার্ডে জনতার মুখোমুখি মেয়র সভা করা হয়। আমার মূল লক্ষ্য জাতি, ধর্ম-বর্ণ, রাজনৈতিক মতামতের ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের সেবা করা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close