reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

ভালো কাজে দেব প্রতিদান

রাজনীতিকদের কিছু লক্ষ্য এবং স্বপ্ন থাকে। যদি প্রতিনিধিত্ব করা যায়, তবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা অসম্ভব হয় না। পৌরবাসী আমাকে ভালো জানে বলেই তৃতীয়বার মেয়র নির্বাচিত করেছে। ভবিষ্যতের বিষয়ে আগাম কিছু বলা ঠিক না, কত মানুষ বলে আপনি এটা হবেন সেটা হবেন। আমার এত দরকার নেই, আমি যে অবস্থানে আছি সে অবস্থান নিয়েই চিন্তা করি। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতেই বলা ভালো। তবে পৌরবাসীর ভালোবাসার প্রতিদান দেব ভালো কাজ দিয়ে। প্রতিদিনের সংবাদকে কথাগুলো বলছিলেন ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এ বি এম আনিসুজ্জামান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি মেহেদি জামান লিজন।

ত্রিশাল পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ৫ মে। এর আয়তন ১৫.৪৯ বর্গকিলোমিটার। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে এটি গঠিত। এখানের লোকসংখ্যা ৩৮ হাজার ৫০৭ জন; যার মধ্যে পুরুষ ১৯ হাজার ৫০৮ এবং নারী ১৮ হাজার ৯৯৯ জন। টানা তৃতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ বি এম আনিসুজ্জামান।

মেয়র বলেন, ত্রিশাল পৌরসভাকে নিয়ে আমি না, সবাই স্বপ্ন দেখেন। প্রথমবার যখন দায়িত্ব পেয়েছি তখন থেকেই কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছি, এবার আরো ভালো কাজ করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।

মেয়র আনিছ বলেন, অনেকে বলি আধুনিক, অনেকে বলে ডিজিটাল আবার আলোকিত। কিন্তু আমি বলতে চাই আধুনিক হোক আর ডিজিটাল, সবধরনের নাগরিক সুবিধাসম্পন্ন একটি পৌরসভা গড়তে চাই। আমরা তো কত কিছু বলি তিন তলা রাস্তা দেব, পাঁচতলা বাড়ি দেব। কিন্তু নাগরিক সুবিধা বলতে যেটা দরকার সেটাই দিতে আমি চেষ্টা করব।

মেয়র আনিছ বলেন, আমি যে অনারিয়ামটা পাব তা দিয়ে পৌর এলাকার স্কুলের শিশুদের জন্য কাজ করব। এর একটি অংশ আমি এতিমখানা, হেজবুতখানায় দিয়ে থাকি। বাকি অংশ স্কুলের শিশুদের জন্য ব্যয় করব।

মেয়র বলেন, বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করা, সময়মতো স্কুলে যাওয়া, বিদ্যুৎ অপচয় না করা, বিদ্যালয় অঙ্গন ও নিজ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখাসহ বিভিন্ন নিয়মানুবর্তিতামূলক কাজে শিশুদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ চিন্তাভাবনা অনেক আগে থেকেই আমার নেওয়া, কিন্তু করোনার কারণে পারিনি। তবে চলতি মাস থেকেই এ কাজগুলো শুরু করব। পৌরসভার স্কুলগুলোতে ঝুঁড়িসহ যাবতীয় জিনিসপত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে সরবরাহ করে দেব। এর পাশাপাশি পুরস্কারের ব্যবস্থাও করা হবে। যে ভালো করবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে, তাতে শিশুরা অনুপ্রাণিত হবে। শিশুদের যদি নৈতিকভাবে গড়ে তোলা যায়, তাদের মাথায় যদি একবার ঢুকিয়ে দেওয়া যায় সে কিভাবে চলাফেরা করবে, দেশ ও দশের উপকারে আসবে তাহলে ভবিষ্যতের জন্য অনেক কাজই হয়তো আমাদের করতে হবে না।

মেয়র বলেন, স্কুলজীবন থেকেই আমি রাজনীতি করি। সবসময়ই মাদকের বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো থাকব। দু-তিনটি বিষয়ে আমি কোনো দিন থানায় সুপারিশ করিনি। সত্য হোক-মিথ্যা হোক মাদক নিয়ে কেউ আটক হলে আমি তাদের ব্যাপারে কখনো সুপারিশ করিনি, পাশাপাশি নারীঘটিত বিষয়সহ চুরি-ডাকাতির বিষয়েও না।

মেয়র বলেন, আগের মাস্টার প্লানকে ফলো করেই আমি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আমাদের পৌরসভার যেসব খাল বেদখল হচ্ছে সেখানে রিটার্নিং ওয়াল এবং পাশ থেকে যদি রাস্তা তৈরি করি তাহলে মানুষের চলাচলের রাস্তাও হবে, খালও রক্ষা হবে।

মেয়র বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে ত্রিশাল পৌরসভা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে, এরই মধ্যে পানির বিল, ট্যাক্সসহ প্রায় সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়। ভবিষ্যতে এগুলোর পুরো প্রক্রিয়াই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করা হবে। আগে আমাদের লোক গিয়ে টাকা নিয়ে আসত। আর এখন বিল গ্রাহকরা ব্যাংকে জমা দিয়ে আসেন। ভবিষ্যতে এগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। তবে সময় লাগবে। পৌরসভার কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ যাবতীয় জিনিস সরবরাহ করার চেষ্টা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close