reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১১ জানুয়ারি, ২০২২

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

মাদকমুক্ত শহর গড়ব

পৌরসভাকে মডেল ও মাদকমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। চার বছরে পৌরবাসীকে তাদের প্রত্যাশিত সেবা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা ও উন্নত জীবন মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া বেত্রাবর্তী নদী দখলমুক্ত করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, শিশুপার্ক, মিনি স্টেডিয়াম এবং পৌরসভার রাস্তাঘাটের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। প্রতিদিনের সংবাদের সঙ্গে একান্ত আলাপে এই কর্মপরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন কলারোয়া পৌরসভার মেয়র মো. মনিরুজ্জামান বুলবুল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি মো. মোজাফফর হোসেন।

কলারোয়া পৌরসভা ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এরই পৌরসভার আয়তন ১৪.৫৪ কিলোমিটার। নির্বাচনে জয়ী হয়ে গেল বছরের এপ্রিলে মেয়রের দায়িত্ব নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বুলবুল। এর আগে তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মেয়র বলেন, ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া সড়কের পাশে ড্রেন, পাবলিক টয়লেট, মশক নিধন ও শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করেছি। যার ফলে পৌরবাসী আমাকে আবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি কলারোয়া পৌরসভাকে মডেল ও মাদকমুক্ত করতে সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে মেয়র বুলবুল বলেন, বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কার, নতুন রাস্তা নির্মাণ ও পৌরসভার যানজট নিরসনের লক্ষ্যে বেত্রাবতীর নদীর ওপর দুটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এসব বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি। এছাড়া পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য বেত্রাবর্তী নদীকে দখলমুক্ত করে দুই পাড়ে হাঁটার পথ, বিশ্রামের স্থান, নান্দনিক স্থাপনা ও সৌন্দর্র্যমন্ডিত গাছ দিয়ে সাজানো হবে। পৌরসভা ভবন থেকে প্রাণিসম্পদ ভবন পর্যন্ত মিনিপার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। পৌরসভাকে মডেল ও মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রথম হাতিয়ার হিসেবে যুব সমাজকে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল মাঠকে খেলার উপযোগী করাসহ দর্শকদের বসার ব্যবস্থা, শার্টলার খেলার কোট নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, শার্টলার, সাঁতার, হাডুডুসহ দেশীয় খেলার আয়োজন করা হয় পৌর কাপের মাধ্যমে। শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ আলোকসজ্জার মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন যা পৌরবাসীর প্রশংসা পেয়েছি। পৌরবাসীর জন্য আর কী কী ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় তা বাস্তবায়নের কাজ করছি। পৌরবাসী আমার ওপর আস্থা রেখে দ্বিতীয়বারের মতো সেবা করার সুযোগ দিয়েছে, আমি আমার কাজের মাধ্যমে সেই আস্থা পূরণের চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close