বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার

  ২৩ নভেম্বর, ২০২১

অভিনব কায়দায় প্রতারণা

জেলবন্দিকে মুক্তির প্রলোভনে ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ

‘কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কারাগার পরিদর্শনে গেছেন। তিনি করোনাকালীন লটারির ভিত্তিতে জেলে বন্দি থাকা কয়েকজন কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে তার জন্য গুনতে হবে ৮৫ হাজার টাকা।’ প্রতারক চক্রের এমন ফাঁদে পড়েছে এক কয়েদির পরিবার। বিকাশে ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে ওই চক্রের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার এখন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওই কয়েদির পরিবার থেকে এমন অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র।

প্রতারণার শিকার নিলুফা সুলতানা চকরিয়ার লক্ষ্যারচরের বাসিন্দা। বর্তমানে স্বামী সোলতান মো. বাবুলসহ পরিবার নিয়ে কলাতলী সি-প্যালেসের বিপরীতে বেভিউ সড়কে থাকেন। নিলুফা সুলতানা বলেন, তার ছোট ভাই মো. পারভেজ স্থানীয় একটি মামলায় ১১ মাস ধরে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারাভোগ করছেন। গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ ০১৩২৩৯৩৫৬৬৪ নাম্বার থেকে তার মায়ের ব্যবহৃত ০১৮২৩ ৩৫১৫৭৯ নাম্বারে কল দিয়ে জানায়, লটারির মাধ্যমে কয়েকজন কয়েদিকে জেলা প্রশাসক মুক্ত করে দেবেন। তবে এজন্য দিতে হবে ৮৫ হাজার টাকা। টাকা দিলেই ওইদিন সন্ধ্যায় নিলুফার ছোট ভাই পারভেজকে সঙ্গে সঙ্গে জেলা কারাগার থেকে বের করে দেবেন।

চক্রটি একাধিক পদস্থ ব্যক্তির নাম ও কণ্ঠ ব্যবহার করে এমন আশ্বাস দিলে সরল বিশ্বাসে ০১৭৪৮১৫৭৮৮০ বিকাশ এজেন্ট থেকে প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত ০১৩২৩৯৩৫৬৬৪ নাম্বারে ২৫ হাজার এবং ০১৮৮৯৬৮০৩২১ নাম্বারে ৩৫ হাজার ও ০১৭৯৫০৭৬৮৯৬ নাম্বারে ২৫ হাজার টাকাসহ ৮৫ হাজার দেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার পর প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারগুলোতে কল দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।

বিষয়টি স্থানীয় ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করার পর তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অনুধাবন করেন। এতে নিরূপায় হয়ে নিলুফা বেগম কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিলুফা সুলতানা বাদী হয়ে প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ০১৩২৩৯৩৫৬৬৪, ০১৮৮৯৬৮০৩২১ ও ০১৭৯৫০৭৬৮৯৬ নাম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার এএসআই শাহনুর আলম এ ব্যাপারে বলেন, অভিযোগটি তার কাছে এসেছে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close