reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ নভেম্বর, ২০২১

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

আধুনিক নগর গড়ব

নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে সবার জন্য কাজ করছি। পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ৯৬ কোটি ৭৭ লাখ ২৩ হাজার ৬৭ টাকার বাজেট ঘোষণা হয়েছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন বিনোদন স্থান আধুনিকায়ন করা, নীল সাগর দিঘিতে ওয়াকওয়ে ও গেট নির্মাণ এবং বিভিন্ন রাইড স্থাপন করা হবে। এতে আরো উন্নত হয়ে উঠবে পৌর শহর। প্রতিদিনের সংবাদের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বগুড়া প্রতিনিধি আবদুস সালাম বাবু।

বগুড়া পৌরসভা গঠন করা হয় ১৮৭৬ সালে। প্রতিষ্ঠাকালীন এর আয়তন ছিল ১ দশমিক ২৫ বর্গমাইল, আর জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৭ হাজার। প্রায় ১০০ বছর পর ১৯৮১ সালের ১ আগস্ট এটিকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করা হয় এবং এর আয়তন দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার। ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর পৌরসভার এলাকা সম্প্রসারণ করে ৬৯ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটারে উন্নীত করা হয়। আগের ১২টি ওয়ার্ডের সঙ্গে নতুন করে আরো ৯টি ওয়ার্ড যুক্ত করে ২১টি ওয়ার্ড গঠন করা হয়। বর্তমানে পৌরসভার ভোটার ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮০০।

কাগজে-কলমে প্রথম শ্রেণির হলেও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী। যানজট শহরবাসীর নিত্যসঙ্গী, খানা-খন্দকে ভরা রাস্তাঘাট, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, একটু বৃষ্টিতেই সড়কে হাঁটুপানি, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তূপ পৌরবাসীর প্রধান সমস্যা। পৌরসভার পরিধি বাড়লেও বর্ধিত এলাকায় নেই উন্নয়নের ছোঁয়া।

এসব সমস্যা সমাধান করে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চান বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌর নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৮২ হাজার ২১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৯ মার্চ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মেয়র বাদশা সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ শুরু করেন। মেয়র বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ পৌরসভা বগুড়া, তবে ক শ্রেণির অন্য পৌরসভা যে সুবিধা পায় বগুড়া পৌরসভাও সেই সুবিধা পায়। ৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনে পৌনে ৩ লাখ ভোটারের বগুড়া পৌরসভার বরাদ্দ ও ২০ হাজার ভোটারের ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভার উন্নয়ন বরাদ্দ একই। বগুড়া পৌরসভা দেশের তিনটি সিটি করপোরেশনে চেয়েও আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে বড়। তাই বিশাল আয়তন ও বিপুল জনগোষ্ঠীর পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে সরকারের অনুদান ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

মেয়র বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে শহরের উপযুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধে বগুড়ার অবদান স্মরণীয় করতে স্বাধীনতা চত্বর নির্মাণ, রাস্তা ও ড্রেন সংস্কার এবং উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় ফুটপাত নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের জন্য ছাউনি নির্মাণের জন্য। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন হাট-বাজারের উন্নয়ন, পৌরবাসীর নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা করা হবে।

রাস্তাঘাটের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র বাদশা বলেন, পৌর এলাকায় সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি ও জেলা পরিষদের রাস্তা রয়েছে। এসব রাস্তার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে শহরে ফতেহ আলী বাজার, কাঁঠালতলায় রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। শহরে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার এবং পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা গ্রহণ রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

শহরের সৌন্দর্যবর্ধনে উদ্যোগ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র বলেন, সড়কে ডিভাইডারের বৃক্ষরোপণ, খান্দার বিল, এরুলিয়ার ময়লার ভাগারের সংস্কার কাজ করে পৌরবাসীর বিনোদনের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারের সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বগুড়ার ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে শহরে প্রবেশের ৪টি স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হবে। এসব তোরণে বগুড়ার ইতিহাস ঐতিহ্য বিশেষ করে দই, লাল মরিচসহ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন তুলে ধরা হবে।

আগামীকাল পড়ুন

গাইবান্ধা পৌর মেয়রের কথা

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close