শেরপুর প্রতিনিধি

  ২২ নভেম্বর, ২০২১

শেরপুরের গারোপল্লী মাতল ‘ওয়ানগালায়’

গারোদের সবচেয়ে অন্যতম প্রধান উৎসব ‘ওয়ানগালা’। ওয়ানগালা মূলত নবান্ন উৎসব। সাধারণত বর্ষার শেষে ও শীতের আগে, নতুন ফসল তোলার পর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবের আগে তারা নতুন খাদ্যশস্য ভোজন থেকে বিরত থাকেন। অনেকেই একে ধন্যবাদের উৎসবও বলে থাকেন। আবার একশ ঢোলের উৎসব নামেও পরিচিত।

‘ওয়ানা’ শব্দের অর্থ দেবদেবীর দানের দ্রব্যসামগ্রী আর ‘গালা’ অর্থ উৎসর্গ করা। দেবদেবীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও মনোবাসনার নানা নিবেদন হয় এ উৎসবে। অনেকটা আমেরিকা ও কানাডার ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’-এর মতো উৎসব। যেখানে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পেরে কৃতজ্ঞতায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘থ্যাংকস গিভিং ডে’ উদযাপন করা হয়।

গারোদের বিশ্বাস, ‘মিসি সালজং’ বা শস্য দেবতার কৃপায় ফসলের ভালো ফলন হয়। নতুন ফল ও ফসল ঘরে উঠবে। তার আগে কৃতজ্ঞতা জানাতেই হবে শস্য দেবতার প্রতি। গারো সম্প্রদায়ের এটাই রেওয়াজ। তাই শস্য দেবতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ও নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতির জন্যে নেচে-গেয়ে উদযাপন করা হয় ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা। একই সঙ্গে পরিবারে ভালোবাসা, মণ্ডলীর আনন্দ, সব পরিবারের মঙ্গল কামনা করা হয় শস্যদেবতার কাছে।

প্রতিবছরের মতো এবারো শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা খ্রিষ্ট রাজার পর্ব ও ওয়ানগালা উৎসব উদযাপন করেছে। গতকাল রবিবার দিনব্যাপী মরিয়মনগর সাধু জর্জের ধর্মপল্লীর গির্জা চত্বরে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টায় থক্বা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ও খামাল ফাদার বিপুল ডেভিড দাস সিএসসি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close