বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ছেলে সাংবাদিক রিশাদ হুদাকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় গাড়ির হর্ন দেওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে বেসরকারি টেলিভিশন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিশাদ হুদাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজিম আহমেদকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরে নাজিম, তার সহযোগী তানভীর, ইউসুফসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন রিশাদ হুদা। গতকাল রবিবার নাজিমকে আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে পুলিশ। আসামির পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

রিশাদ হুদার সহকর্মী বনি ইবনে কামাল বলেন, বিকালে কাঁটাবন এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলেন রিশাদ। তার সামনে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল। হর্ন দিয়ে ওই গাড়িকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতেই রিশাদকে গালাগাল করেন চালক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে নাজিম ও তার তিন-চারজন সঙ্গী গাড়ি থেকে নেমে রিশাদকে মারধর করেন। সেখানে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে রিশাদকে রক্ষা করেন।

বনি ইবনে কামাল বলেন, কাঁটাবন থেকে রিশাদ শাহবাগে আসার পর আবার তার ওপর হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে রিশাদের পরিচয় পেয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজিম আহমেদ সমঝোতা করতে আজিজ সুপার মার্কেটে নিয়ে যান। সেখানে দোকান-মালিক সমিতির কক্ষে আলোচনার সময় বাইরে থেকে কয়েকজন এসে তার ওপর আবার হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে আসার পর এক পুলিশকেও আহত করে হামলাকারীরা। পরে সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে রিশাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে শাহবাগ থানায় এসে রিশাদ মামলা করেন।

"