reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ নভেম্বর, ২০২১

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

শহরের চেহারা বদলে দেব

পৌর এলাকার মানুষের হাঁড়ির খবর জানি আমি। বিগত দিনে মানুষের কাছাকাছি গিয়েছি। আমি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। তাই দিনাজপুরের মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেই আমাকে তৃতীয়বারের মতো মেয়রের চেয়ারে বসিয়েছে। আমি তাদের সেই আস্থার প্রতিফলন ঘটাব উন্নয়নের মধ্য দিয়ে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দিনাজপুর শহরের চেহারা পাল্টে যাবে। শহরের ভাঙা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করব। ড্রেনেজ ব্যবস্থারও কিছু সমস্যা রয়েছে, অচিরেই যান সমাধান হবে। কথাগুলো বলছিলেন দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দিনাজপুর প্রতিনিধি মো. নূর ইসলাম নয়ন।

দিনাজপুর পৌরসভা ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা লাভ করে। বর্তমানে ২৬.৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে পৌর এলাকা। ১২টি ওয়ার্ডে তিন লক্ষাধিক মানুষের বাস। পৌরসভার হিসাব অনুযায়ী (জুন-২০২০) বর্তমানে হোল্ডিং সংখ্যা ২৯ হাজার ২৬৭টি। নিয়মিত কর্মচারী ৭৩ জন, অনিয়মিত ২৬৯ এবং ঝাড়–দার ১০৪ জন। বর্তমান মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০১১ সালে তিনি প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। সবশেষ চলতি বছরের জানুয়ারির নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হন।

পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রম ও সেবার নিম্নমানের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দিনাজপুর একটি বড় পৌরসভা। সেই তুলনায় উন্নয়ন বরাদ্দ অপ্রতুল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সাত কোটি টাকার কাজ চলমান। বিশ্বব্যাংক থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা এবং এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় শিগগির ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। ১২টি ওয়ার্ডের সরকারি-বিদেশি প্রকল্পের উন্নয়নের কাজ ঊর্ধ্বগতিতে চলছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে চলছে রাস্তাঘাট মেরামত এবং ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ২১২টি প্রকল্পের ২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের (বিসিসিএফ) তিন কোটি টাকা, এনুয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এডিপি) এক কোটি টাকা, আইইউআইডিপির সাড়ে আট কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন।’

দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের তদন্তের বিষয়ে মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে পরপর তিনবার নির্বাচিত মেয়র। সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগেও অনেকবার আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। আসলে কোনোটাই অবৈধ ও স্বেচ্ছাচারিতা নয়।’

আগামীকাল পড়ুন

বগুড়া পৌর মেয়রের কথা

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close