নিজস্ব প্রতিবেদক
সভায় জি এম কাদের
মানুষের কল্যাণেই প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা জরুরি
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, নতুন প্রশাসনিক বিভাগ তৈরি হচ্ছে। উপনিবেশিক শাসন পদ্ধতিতে প্রশাসক নিয়োগ হচ্ছে। এতে উপনিবেশিক শাসন পদ্ধতি রয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু হলে জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। দুর্নীতি কমে যাবে। মানুষের কল্যাণেই প্রাদেশিক সরকারব্যবস্থা চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, শোষণের জন্য তৈরি ব্রিটিশদের প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে মানুষের জন্য সেবাধর্মী নানা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ব্রিটিশরা শাসন করতে প্রশাসক নিয়োগ করেছিলেন। শোষণের জন্য রাজা-বাদশাহরাও শাসক নিয়োগ করেছে। কিন্তু পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চেয়েছিলেন, মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়েই শাসনের বিপরীতে কল্যাণময় সেবা চালু করতে। তাই বর্তমান বাস্তবতায় পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের প্রাদেশিক সরকার পদ্ধতি বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, মানুষের কল্যাণেই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছিলেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আমরা মানুষের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করব। মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে জাতীয় পার্টির রাজনীতি। আগামী নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টি মানুষের স্বপ্ন পূরণের রূপরেখা প্রকাশ করবে।
সভায় আরো বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল শুভরায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মীর আবদুস সবুর আসুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সম্মানিত সদস্য জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি।
"