reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ অক্টোবর, ২০২১

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য শহর গড়ব

মানুষ আমাকে সব সময় কাছে পেয়েছে, তাই আমার হাতেই তারা পৌরবাসীর দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। আমি নিজেকে পৌরপিতা নয়, জনগণের একজন সেবক মনে করি। আমার কাছে অর্থবিত্তের চেয়ে মানুষের ভালোবাসা বেশি দামি। আর সেই ভালোবাসার তাগিদে মানুষ আমাকে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। আমি শহরের রিজার্ভ পুকুরের চারপাশ সংরক্ষণসহ সেখানে সৌন্দর্যবর্ধন করেছি। পৌর কবরস্থানে নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছি। এখন নাব্যতা হারানো খালগুলো খনন ও অবশিষ্ট রাস্তা পাকাকরণসহ অবকাঠামোমূলক অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করব। শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলে সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ বাসযোগ্য করে গড়ে তুলব। প্রতিদিনের সংবাদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বললেন পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পিরোজপুর প্রতিনিধি মো. ইমাম হোসেন জমাদ্দার।

পিরোজপুর পৌরসভা দেশের প্রাচীন এবং প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন ২৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার। ওয়ার্ড ৯টি এবং ৩০টি মহল্লায় বিভক্ত। আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী জনসংখ্যা ৬০,০৫৬। এ পৌরসভায় টানা চতুর্থবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন হাবিবুর রহমান মালেক। তিনি ১৯৫৬ সালের ২৫ এপ্রিল পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একরাম আলী খলিফা শংকরপাশা ইউনিয়ন পরিষদে ৪০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন।

হাবিবুর রহমান ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে মহকুমা কমিটির যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ২০০৪ সালে প্রথম পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ ও ২০১৫ সালে এবং ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়র নির্বাচিন হন। তিনি একজন ভালো ফুটবল ও হকি খেলোয়াড়।

মেয়র বলেন, ‘পিরোজপুর পৌরসভা মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে সব ওয়ার্ডে আমি সভা করেছি। প্রশাসন সঙ্গে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। মাদকমুক্ত পৌরসভা গড়তে আমি সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছি। সাধারণ মানুষ অনেক আশা নিয়ে আমাকে প্রথমবার পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিল। আমি তাদের পাশে থেকে সেবা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি এলাকায় থাকায় মানুষ সুখে-দুঃখে সব সময় আমাকে কাছে পায়। পৌর নাগরিকরা যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে এলে আমি তাৎক্ষণিক তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি।’

জনদরদি নগরপিতা হাবিবুর রহমান মালেক জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের সেবায় কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে পৌরবাসী আমাকেও ভালোবাসে। আমি তাদের ভালোবাসার বিনিময়ে সারা জীবন পাশে থাকতে চাই।’

পিরোজপুরে ব্যাপক জনপ্রিয় নেতা হাবিবুর রহমান মালেক। পিরোজপুরবাসীর যেকোনো সমস্যায় তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। কেউ অর্থাভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না, সন্তানকে লেখাপড়া করাতে পারছেন না, তিনি নিজের অর্থায়নে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মেয়র মালেক পিরোজপুরে সন্ত্রাসী, মাদক কারবারিকে বেড়ে উঠতে দেননি। তার ক্লিন ইমেজের কারণেই তিনি পৌরবাসীর মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ তার সুবিবেচনাপ্রসূত মশক নিধন ওষুধ প্রয়োগ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কারণে শহরে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও করোনাকালীন মহামারিতে নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

টানা চারবারের নির্বাচিত মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক বলেন, ‘সুপেয় পানি সরবরাহে আমি অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এ কারণে পৌর এলাকার কোনো মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় না। আমি যখন প্রথম মেয়র নির্বাচিত হই, তখন পিরোজপুরে গুটিকয়েক সড়ক ছাড়া প্রায় সব সড়কই ছিল কাঁচা। এখন কোনো কাঁচা সড়ক নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় আছে বলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close