reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ অক্টোবর, ২০২১

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

পৌরবাসীর সেবাই আমার লক্ষ্য

জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। কোনো দল বা গোষ্ঠীর নয়, পৌরসভার সব নাগরিক সমানভাবে সেবা পাবেন। কোনো বৈষম্য হবে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পৌরসভাকে পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়তে চাই। পৌরসভা হবে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ। পৌরসভার উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চাই। প্রতিদিনের সংবাদকে কথাগুলো বলেছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি হামিদুর রহমান।

প্রথম শ্রেণির হলেও এখনো আপন ঠিকানা হয়নি মাধবপুর পৌরসভার। জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন পৌরবাসী। ১৯৯৮ সালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ও আদাঐর ইউনিয়নের দুটি অংশ নিয়ে গড়ে তোলা হয় মাধবপুর পৌরসভা।

মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বলেন, মাধবপুর পৌরসভার প্রথম সমস্যা জলাবদ্ধতা। এই সমস্যা সমাধান করতে পারলে পৌরসভার দীর্ঘদিনের যে সমস্যা সেটি দূর হয়ে যাবে। আগে পৌরসভায় যেসব ইমারত নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো প্ল্যান মতো করা হয়নি। ফলে এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এটি একটি বড় সমস্যা যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে সব নাগরিক সচেতন হলে আর সবাই মিলে সহযোগিতা করলে পৌরবাসীর সেবাই ২০২২ সালের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান করা যাবে।

পৌরসভার নিজস্ব ভবন নির্মাণ সম্পর্কে মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বলেন, পৌর ভবন নির্মাণ একটি বিশাল প্রক্রিয়া। পৌরসভার পক্ষ থেকে বিগত সময়ে জায়গাও কেনা হয়েছে। কিন্তু এটি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় ভবন নির্মাণ করা যায়নি। তাছাড়া আরো কিছু বাধা-বিপত্তি রয়েছে। পৌরসভার যারা মুরুব্বি রয়েছেন, যারা সচেতন নাগরিক সবাই যদি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন তাহলে পৌরভবন নির্মাণ করা সহজ হবে। তিনি বলেন, ভবন করার জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মেয়র বলেন, পৌর শহরে পানির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সুপেয় ও মিষ্টি পানির জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন কাজ চলছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ করা হয়। কাজটি শেষ করা হয়েছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য থেকে এখনো পৌরসভাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। যার ফলে আমরা পৌরবাসীকে সুপেয় পানি, মিষ্টি পানি দিতে পারছি না। আশা করি, এটি চালু হলে

পৌরবাসীর সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ হবে। সড়কবাতি সম্পর্কে মেয়র বলেন, কিছু কিছু সড়কে সড়কবাতি লাগানো হয়েছে। যে সড়কগুলোতে সড়কবাতি নেই সেগুলোতে সড়কবাতি লাগানোর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ১১২টি সড়কবাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জলবায়ু প্রজেক্ট নামে একটি প্রজেক্ট আছে সেখানে সারা দেশের পাঁচটি পৌরসভার নাম আছে। তার মধ্যে মাধবপুর পৌরসভার নাম রয়েছে। এই প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে মাধবপুর পৌরসভার চিত্র বদলে যাবে। মাধবপুর পৌরসভার ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ কোটি ৭২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭২ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

মেয়র বলেন, এ বাজেটে সুবিধাবঞ্চিত, দুস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু রয়েছে। তাছাড়া পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কর আদায়ে মাধবপুর পৌরসভা এগিয়ে আছে। আমাদের কর কালেকশনের হার ৯৩.৬৫ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে পৌরসভার সৌন্দর্য বৃদ্ধি, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। মেয়র হিসেবে আমার কোনো প্রতিশ্রিুতি ছিল না। কিন্তু পোস্টারে যেহেতু লিখেছি জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন তাই সব সময় জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। আমার কোনো বন্ধের দিন নেই। সব সময় সবার জন্য আমার দরজা খোলা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close