বান্দরবান প্রতিনিধি

  ২০ অক্টোবর, ২০২১

আজ মারমা ধর্মীয় উৎসব ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে শুরু

আজ থেকে বান্দরবানে শুরু হচ্ছে মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে’। উৎসব চলবে দুই দিনব্যাপী। জেলার মারমা পল্লীগুলোতে বইছে আনন্দের বন্যা, চলছে নানা আয়োজন। উপাদেয় খাবার তৈরিতে ব্যস্ত মারমা নারীরা। তাদের মধ্যে এখন উৎসবের ধুম।

আষাঢ়ের পূর্ণিমার পর থেকে তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে শুরু ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে। প্রতি বছর পূর্ণিমার এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পালন করে প্রবরণা পূর্ণিমা, আর প্রবরণা পূর্ণিমাতে মারমা সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করে মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে।

উৎসবের মধ্যে রয়েছে- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রথযাত্রা, পিঠা তৈরি, ফানুস ওড়ানো, হাজার প্রদীপ প্রজ্বলনসহ নানা আয়োজন। উৎসবের প্রধান আকর্ষণ বাঁশের তৈরি একটি রথ (পাখিসদৃশ)। মারমা তরুণ-তরুণীরা তাদের নিজ ভাষার উৎসব সংগীত গেয়ে রথ টেনে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার প্রদক্ষিণ করেন। শেষে সাঙ্গু নদীতে রথ বিসর্জন দেয়। দলবেঁধে তৈরি করে নানা রঙের ফানুস ও বেতের নানা সামগ্রী।

মারমা তরুণী মাসিং খই বলেন, ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে আমাদের খুবই প্রিয় উৎসব। উৎসবে ফানুস উড়াব। বন্ধু-বান্ধবীরা মিলে ফানুস বানিয়েছি। উহ্লায়ী মার্মা বলেন, প্রবরণার সময় রথ টানব। পিঠা বানাব। বন্ধুরা মিলে ফানুস উড়াব। খুব মজা হবে।

উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি লাইচিং মার্মা বলেন, এবার করোনা মহামারির কারণে উৎসবের আয়োজন কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। প্রত্যেকবার তিন থেকে চার দিন উৎসব উদযাপন হলেও, এবার দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালন করব। প্রথমদিন ফানুস উড়ানো হবে। রাতে পিঠা তৈরি করা হবে পাঁচটি পয়েন্টে। পরের দিন রথ টেনে মন্দিরগুলো প্রদক্ষিণ শেষে নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

উৎসব পালনে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা

ব্যবস্থা। এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, উৎসব ঘিরে প্রায় সময়ই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বান্দরবান আসেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা বিভিন্নস্তরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আশা করি সবাই নিরাপদে মিলেমিশে উৎসব উদযাপন করতে পারবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close