নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ অক্টোবর, ২০২১

জালালের অ্যাপ ঠেকাবে ধর্ষণ!

স্মার্টফোনের স্ক্রিনে টাচ করে মুহূর্তেই খাবার-দাবার কেনাকাটা কত কিছুই হচ্ছে। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন, আপনার হাতে থাকা ফোনটি হয়ে উঠতে পারে ধর্ষণ ঠেকানোর হাতিয়ার। মুঠোফোনের বার্তা পেয়ে ঠেকাতে পারেন ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ। তেমনি একটি অ্যাপ ‘বাঁচাও’।

ধর্ষণের হাত থেকে নারীদের রক্ষায় প্রত্যয় নিয়ে নামেন জালাল মির্জা। কোনো নারী যেন আর ধর্ষণের শিকার না হন; সেজন্য ঘোষণা করেন যুদ্ধ। তৈরি করেন ‘বাঁচাও’ অ্যাপ। জালাল মির্জা বলেন, “আমার মা মারা যাওয়ার আগে হাতে হাত রেখে বলেছিলেন, তুমি এত বড় একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তুমি পারলে অসহায় মেয়েদের বাঁচাও। তখন বাঁচাও কথাটা আমার কানে লাগে। ওইদিনই সিদ্ধান্ত নেই ‘বাঁচাও’ নামে প্রকল্প করব।”

একমাত্র সমাজের মানুষ এগিয়ে এলেই ধর্ষণ ঠেকানো সম্ভব। কারণ তারাই ঘটনাস্থলে দ্রুত যেতে পারে। এজন্য পি টু পি বা পিপল টু পিপল মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। বাঁচাও অ্যাপের সাহায্যে সহজে নিবন্ধন করে ‘রেপ অ্যালার্ট’ বাটন চেপেই সাহায্য চাওয়া যাবে।

এক ক্লিকেই সাহায্য চাওয়া নারীর কাছাকাছি পরিবার, বন্ধু, স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের কাছে চলে যাবে বার্তা। জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাহায্য চাওয়া নারীর অবস্থান নির্দেশ করবে। এ ক্ষেত্রে তার নম্বর গোপন রেখে টেক্সট বা অডিও কলেও করা যাবে যোগাযোগ। যাদের স্মার্টফোন নেই, তাদের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে বাঁচাও বিটিআরসির কাছে বিকাশ/নগদের মতো শর্টকোডের জন্য আবেদন করেছে; যা দিয়ে যেকোনো ফোন থেকেই সাহায্য চাওয়া যাবে।

জালাল মির্জা আরো বলেন, যাদের স্মার্টফোন নেই, যারা ব্যবহার করতে জানেন না তো তারা শর্টকোডের মাধ্যমে এসএমএস দিয়ে অ্যালার্ট দিতে পারবেন। তার এই মহৎ উদ্যোগে সঙ্গী হয়েছেন সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ধর্ষণকে চিরতরে নির্মূল করা না গেলেও অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close