খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

  ১৯ অক্টোবর, ২০২১

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

৫৭৯ দিন পর খুলল আবাসিক হল

করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আবাসিক হল। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা টিকা নেওয়ার সনদ, টিকার রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখিয়ে হলে উঠেছেন। এ সময় তাদের ফুল ও চকলেট দিয়ে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হল, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল ও অপরাজিতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করেন। দীর্ঘদিন পর হলে প্রবেশ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও। তারা নিজেদের দ্বিতীয় আবাসে ফেরায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। হল খুলে দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে শিক্ষার্থীদের আগমনের সংখ্যা। হলগুলোর গেটে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসেছেন হাউস টিউটররা। আগত শিক্ষার্থীদের ফুল, চকলেট ও মাস্ক দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন তারা। তাদের বিতরণ করা হচ্ছে করোনার নির্দেশনার কপি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। হলে প্রবেশের সময় চেক করা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা।

এ সময় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমন কুমার দাস বলেন, হল আমাদের একটি আবেগের জায়গা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ায় আমরাও প্রতীক্ষায় ছিলাম কবে আমাদের হল খুলবে। দীর্ঘদিন পর আজ হল খুলেছে। হলে এসে বন্ধু, বড় ভাইদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। এত দিন পর হলে এসে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নিলয় কুমার সরকার বলেন, দেড় বছর পর হলে উঠেছি। সত্যিই বিষয়টা অনেক আনন্দের। প্রথম যখন সিট পেয়ে হলে উঠেছিলাম সেই অনুভূতি যেন আবারও হচ্ছে। এত দিন হলের ক্যান্টিন, ডাইনিং ও আমাদের রুমগুলোতে কাটানো সময়গুলো মিস করেছি। আজ থেকে আবার সেই দিনগুলো ফিরে পাব।

ওই হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার জন্য আমরা হলের সংস্কার কাজসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তাদের ফুল, মাস্ক, চকলেট দিয়ে আমরা বরণ করে নিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে সবাই যেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করেন।’

অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট রহিমা নুশরাত রিম্মী বলেন, ‘আজ থেকে শুধুমাত্র চতুর্থ বর্ষ (স্নাতক) ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা হলে উঠছে। শিক্ষার্থীরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করতে পারে সেজন্য সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’

খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আবু শামিম মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘এত দিন পর শিক্ষার্থীদের পদচারণায় হলগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আমরা মোটামুটি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পেরেছি যাতে শিক্ষার্থীরা এসে হলে থাকতে পারেন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close