নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ই-কমার্স পরিচালনায় আসছে কর্মকৌশল

ই-কমার্স খাতসংশ্লিষ্টদের কীভাবে নিয়মতান্ত্রিক পরিচালনা করা যায়, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হবে এবং তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্তির পদ্ধতি বা যোগ্যতা কী হবে- এসব ঠিক করতে আসছে নতুন কর্মকৌশল। এক মাসের এই কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে। এ সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ-সম্পদ উদ্ধার করে গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করা ই-কমার্স সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আমরা একটা প্রতিবেদন দেব। ওই প্রতিবেদনে থাকবে দেশের যেসব ই-কমার্স প্ল্যাটফরম রয়েছে তাদের সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক পরিচালনায় কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হবে এবং লাইসেন্স প্রদানের যোগ্যতা ও প্রাপ্তির সক্ষমতা কী হবে, সে বিষয়টিও। এ নিয়ে এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’

এসব বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রতিবেদন আকারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপস্থাপন করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক এ সংক্রান্ত কমিটির প্রথম বৈঠকে জানানো হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল সোমবার এ বৈঠকে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, ই-ক্যাব সদস্যসহ ১৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, সংস্থা ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিস্তারিত ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন কমিটির আহ্বায়ক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান জানান, ই-কমার্সে আর্থিক লেনদেনের তথ্যাদি বিশেষ করে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক লেনদেন অর্থাৎ গ্রাহকরা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে পরিমাণ টাকা পায়, তা কীভাবে উদ্ধার করা যায়, তারও একটি সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। ই-কমার্স লেনদেনে যেসব গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পাওনা প্রাপ্তির পাশাপাশি লেনদেনে কীভাবে স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়া যায়, তারও একটি করণীয় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে প্রতিবেদনে।

ভবিষ্যতে দেশে ই-কমার্স খাত কীভাবে পরিচালিত হবে, তার একটি রূপরেখা ঠিক করবে মন্ত্রিপরিষদের গঠিত কমিটি। এর মাধ্যমে সব ই-কমার্সের আর্থিক লেনদেন একটি পদ্ধতিতে বা একটি গেটওয়ের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।

সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট-ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায়, তার একটি সুপারিশ থাকবে প্রতিবেদনে।

সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতিবেদন দেওয়ার পর সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ডিজিটাল ই-কমার্স নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একটি দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close