reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৪ অক্টোবর, ২০২১

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

স্বপ্ন আধুনিক নগর নির্মাণের

পৌরসভার উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় ময়লা-আবর্জনা অপসারণে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ, জলাবদ্ধতা রোধ, পানি নিষ্কাশন, রাস্তার উন্নয়ন, সড়কবাতি বৃদ্ধি, শিশুদের বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এজন্য এরই মধ্যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যত্রতত্র পশু জবাই যাতে না হয় সেজন্য পশু জবাই খানা নির্মাণ করা হবে। পৌরসভাকে একটি পরিকল্পিত আধুনিক নগর নির্মাণের স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি হাসান জাকিরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলছিলেন কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. আশরাফুল আলম আশরাফ।

কালীগঞ্জ পৌরসভা ১৯৯০ সালের ১৪ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। যার আয়তন ২২.২ বর্গকিলোমিটার। কালীগঞ্জ পৌরসভা শহরের মধ্যে দিয়ে ঢাকা-খুলনা এবং মেহেরপুর-খুলনা মহাসড়ক রয়েছে। ওয়ার্ড আছে ৯টি। পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির। ১৯৯৩ সালে প্রথম নির্বাচন হয়। বর্তমান ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। শহরে প্রায় দেড় লাখ লোকের বাস। ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৯ হাজার ৪২৭ ভোট পেয়ে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন মো. আশরাফুল আলম আশরাফ।

মেয়র বলেন, প্রথমবার ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ প্রকল্পে মাধ্যমে পৌরসভা গ্রাম থেকে শহরে পরিণত হয়েছে। এছাড়া কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজার পর্যন্ত সড়ক ডবল লেন করা হচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন পার্কিং কাম ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। নিমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত ৪০ ফুট রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের চলাচল অনুপযোগী সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন সড়কও নির্মাণ করা হয়েছে।

কালীগঞ্জে মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এরই মধ্যে তিনটি সুপার মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পার্কিং নির্মাণ, প্রধান বাসস্ট্যান্ড যানজটমুক্ত করতে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, বাস টার্মিনাল প্রসারের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন, শহরের ব্যস্ততম সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন কাম পার্কিং এবং ফুটপাত নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার পরিকল্পনা আছে।

বড় হাট চাঁদনী এখন ক্ষতিগ্রস্ত এবং যেকোনো সময় আবার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ বিষয়ে মেয়র বলেন, “উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তৎকালীন চেয়ারম্যানের ব্যবস্থাপনায় নির্মিত হাট চাঁদনীর জায়গা সরকারি সম্পদ, পৌরসভার না। পৌরসভা ইজারা দিয়ে থাকে। কিন্তু এরই মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই হাট চাঁদনীটি ‘মিনি বসুন্ধরা শপিং সেন্টার’ করার পরিকল্পনা আছে।”

ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে কোনো উন্নয়ন করা হবে না। অস্থায়ীভাবে বসার জায়গা দেওয়া হবে, রাস্তার কাজ শেষ হলে রাস্তার পাশেই অথবা যদি কোনো জায়গা পাওয়া যায় সেখানে বসানো হবে।

শহরের অনেক স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সমস্যা আছে। এ বিষয়ে মেয়র আশরাফ বলেন, ড্রেনগুলো আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ ইঞ্চি পরিমাণ ইটের গাঁথুনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মানুষের অসচেতনতা এবং অপব্যবহারের ফলে ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে থাকে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই সমস্য দূর করে ৫ ফুট গভীর এবং ৩ ফুট প্রশস্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ দীর্ঘদিন সরকারি জায়গা দখল করে ছিল। সেগুলো আমরা উদ্ধার করেছি। বাকিগুলোও উদ্ধার করা হবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, মধ্য ও নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা যাতে মানসম্মত শিক্ষা লাভ করতে পারে সে জন্য মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিষয়ে উদ্যোগ নেব। মাদকের বিষয়ে আমার অবস্থান থাকবে জিরো টলারেন্স। খেলাধুলার জন্য প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মাঠ তৈরি করা হবে। বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার জন্য ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে। পৌরসভায় প্রয়োজনে এসে কোনো মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে নজরদারি থাকবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close