নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ অক্টোবর, ২০২১

দিয়াবাড়ী-মিরপুর ১১

এবার চার স্টেশন ঘুরল মেট্রোরেল

আবার পরীক্ষামূলক ঘুরল স্বপ্নের মেট্রোরেলের চাকা। এবার মিরপুরের চারটি স্টেশন ঘুরে উত্তরার দিয়াবাড়ীর ডিপোতে ফিরে গেল মেট্রোরেল। গতকাল শনিবার সকালে হুইসেল বাজিয়ে লাল-সবুজ আর সাদার মিশেলে মেট্রোরেলের কোচ যখন ভায়াডাক্ট স্পর্শ করে, তখন উচ্ছ্বাস আর আবেগে উদ্ভাসিত নগরবাসী। স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন তারা। যানজটে নাকাল নগরবাসীর প্রত্যাশা শিগগিরই চালু হবে মেট্রোরেল। বাঁচাবে সময় আর অর্থ। স্বপ্নের যাত্রা যেন নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ হয় তাই বারবার এই উদ্যোগ। এর আগে ২৯ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয় মেট্রোরেলের। তখন চার নম্বর স্টেশন মিরপুর পল্লবী পর্যন্ত ঘুরে গিয়েছিল মেট্রোরেল।

এবার পরের স্টেশন প্রস্তুত হওয়ার কারণে মিরপুর সাড়ে এগারো ঘুরে উত্তরা ডিপোতে ফিরেছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। কর্তৃপক্ষের আশা, ডিসেম্বরে পরবর্তী স্টেশনগুলো প্রস্তুত হলে আগারগাঁও যেতে পারবে মেট্রোরেল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাণিজ্যিকভাবে যাত্রার আগে কয়েক দিন পরপরই এভাবে চলবে নগরের কাক্সিক্ষত গণবাহন। কারিগরি দিকগুলো আরেকটু এগিয়ে নেওয়া আরেকটু শানিত করতেই এ আয়োজন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মেট্রোরেলের উত্তরা দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে ছয়টি কোচ নিয়ে শুরু হয় স্বপ্ন যাত্রার পরীক্ষামূলক যাত্রা। উত্তরার উত্তর, উত্তরা সেন্টার ও দক্ষিণ স্টেশন পার হয়ে সাড়ে ১১টায় আসে পল্লবী স্টেশনে। এর কিছুক্ষণ বাদেই আবার ডিপোর পথে যাত্রা করে রেলগাড়িটি।

এদিকে উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে এসে পৌঁছেছে মেট্রোরেলের পঞ্চম ট্রেন সেট। জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশির কারখানা থেকে দীর্ঘ যাত্রা শেষে গত বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেন সেট বহনকারী বার্জটি মোংলা বন্দর থেকে উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপো সংলগ্ন তুরাগ নদের তীরে অস্থায়ী জেটিতে এসে পৌঁছায়। পরে বৃহস্পতিবার ট্রেন সেট জেটি থেকে খালাস করে ডিপোতে নেওয়া হয়।

গত ১২ সেপ্টেম্বর পঞ্চম ট্রেন সেট মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায় বলে জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্যাকেজ-০৮-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক এ বি এম আরিফুর রহমান।

ঢাকা মেট্রোরেলের ট্রেন তৈরি করেছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম। মোট ২৪ জোড়া ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সংস্থাকে। আপাতত মোট ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার প্রস্তাবিত রুটের মধ্যে ৬৭ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় ২০২৪ পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। তবে তার আগে ধাপে ধাপে মেট্রোরেল চালু করে দেওয়া হবে। প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার খরচ করছে। তার মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকা প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য করেছে। আগামী বছরের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হয়ে গেলে তীব্র যানজট থেকে মুক্তি মিলবে ঢাকাবাসীর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close