বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর বিয়ে না করে প্রতারণা করায় ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্য সম্রাটের বাড়িতে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন নওরিন (ছদ্মনাম) নামের এক তরুণী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বিয়ের খবরে তার বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। তবে সম্রাটের বাবা দাবি করেছেন, নওরিনের সঙ্গে তার ছেলের কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল না।

ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা স্কুলপাড়ার বাবুল ড্রাইভারের ছেলে পুলিশ সদস্য সম্রারাটের কয়েক বছর আগে কুষ্টিয়ায় পোস্টিং ছিল। সেখানে চাকরি করার সুবাদে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ওই ছাত্রী (নওরিন) অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের সম্পর্ক হওয়ার পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে পুলিশ সদস্য সম্রাট। সম্প্রতি তাকে সম্রাট এড়িয়ে চলা শুরু করে তাকে। বিয়ের চাপ দিলে সম্রাট নানা তালবাহানা শুরু করে। উপায় না পেয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের বরাবর অভিযোগ দেন ছাত্রীটি। পরে সম্রাটকে বাগেরহাট বদলি করে দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও বিয়ের দাবি করে আসছিল প্রেমিকাটি। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট গিয়ে প্রেমিকা নওরিন (ছদ্মনাম) জানতে পারে শুক্রবার সম্রাটের বিয়ে হচ্ছে। এমন খবরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সম্রাটের বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা স্কুলপাড়ায় অবস্থান নেয় সে।

এদিকে সম্রাটের পরিবার থেকে বলা হচ্ছে মেয়েটির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। সম্রাটের বাবা বাবলু বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমার ছেলের সঙ্গে যে মেয়েটার সম্পর্ক রয়েছে তার প্রমাণ দিতে পারেনি মেয়েটা। নওরিনের সঙ্গে সম্রাটের কোনো সম্পর্ক নেই বা ছিল না। আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মান নষ্ট করার জন্য মেয়েটা মিথ্যাচার করছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা এ ব্যাপারে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগেও মেয়েটি এসেছিল। কিন্তু মেয়েটির সঙ্গে পুলিশ সদস্য সম্রাটের সম্পর্কের কোনো প্রমাণ সে দিতে পারেনি। তবে মেয়েটি যদি অভিযোগ দেয় তবে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাতে মেয়েটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

"