জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করছে না। অথবা নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা দৃশ্যমান নয়। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে সরকারি দলের সঙ্গে অনেক সময় প্রশাসনের একটি অংশও জড়িয়ে পড়ছে। তাই স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে না। বিরোধী মতাদর্শের প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে দাঁড়াতেই পারছেন না। মামলা-হামলা, ভয়ভীতি আর লোভ-লালসায় বিপর্যস্ত হচ্ছেন প্রার্থীরা।

গতকাল সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজনে পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। এরপর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতীর সভাপতিত্বে এক কর্মিসভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, জাতীয় পার্টি স্থানীয় সরকারের প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি সংগঠিত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছে। প্রতিটি নির্বাচনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে বলা হচ্ছে। যারা ভয়ভীতি আর লোভ-লালসা উপেক্ষা করে লড়াই করতে পারবে না, তাদের জাতীয় পার্টিতে প্রয়োজন নেই। কারণ নতুন প্রজন্মের জন্য জাতীয় পার্টির দুয়ার খোলা আছে। এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো জায়গা নেই। আওয়ামী লীগে কেউ ইচ্ছে হলেই যোগ দিতে পারছেন না। আবার বিএনপিতে যোগ দিলেই মামলা আর হামলার ভয় আছে। তাই নতুন প্রজন্মের রাজনীতির জন্য জাতীয় পার্টি হচ্ছে উপযুক্ত প্ল্যাটফরম।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ সময় আরো বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় পার্টি সবচেয়ে নিরাপদ। সাধারণ মানুষ মনে করছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগকেও ছাড়িয়ে যাবে। তাই সাধারণ মানুষ আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, আনিস উর রহমান খোকন, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম দপ্তর সমরেশ মন্ডল মানিক, মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ কারি মোহাম্মদ ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুস সাত্তার, অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, মামুনুর রহমান, আলমগীর হোসেন, শরিফুল ইসলাম, এস এম হাশেম, এম এম সেলিম, ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সব থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

"